সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশের মেয়েরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুরের নারী ফুটবল দলের শক্তিমত্তায় অনেক ফারাক। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে সিঙ্গাপুর । সে সাথে ২০১৭ সালের হারের তিক্ত স্মৃতি সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের। তবে এবারে সে হারের প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশের মেয়েরা। যে প্রত্যয় নিয়ে সিঙ্গাপুরের মেয়েদের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলার নারীরা সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে তারা। দারুণ এক ম্যাচ খেলে প্রায় সাত বছর আগের হারের প্রতিশোধ নিয়েই মাঠ ছাড়ল বাংলার মেয়েরা। গতকাল কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৩০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফিদা খন্দকার তৃতীয় মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর জোড়া গোল করেন তহুরা খাতুন। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। জালান বেসার স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে ৩০ গোলে হেরেছিল বাংলার মেয়েরা। একই ব্যবধানে এবার জিতল বাংলাদেশ। দুই দল দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আগামী সোমবার মুখোমুখি হবে। ইনজুরির কারণে কৃষ্ণা রানী সরকারের অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগের ধার নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। তবে শুরুতেই তা দূর হয়ে যায়। প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু বক্সে ঢুকে তহুরা গোলরক্ষককে একা পেয়েও দেরি করে ফেলেন। পরে ডিফেন্ডারদের চার্জে শটই নিতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। এই হতাশা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুই মিনিট পরই গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ছোট কর্নার নেওয়ার পর মারিয়া মান্দার কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে বক্সে লং বল বাড়ান। আফিদার হেডে বল ক্রসবারের ভেতরের দিকে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়। ১৬ মিনিটে সাবিনার ছোট পাস ধরে একাধিক ডিফেন্ডারকে পায়ের কারিকুরিতে কাটিয়ে বঙে ঢুকে পড়েন মারিয়া। শটটা তিনি নিলেও গোল পেতে পারতেন। তবে তার পাশে থাকা তহুরা দ্রুত টোকায় বল জড়িয়ে দেন জালে। চালকের আসনে বসার পর বাংলাদেশ চাপ ধরে রাখে সিঙ্গাপুরের রক্ষণে। বিরতির আগ পর্যন্ত অধিকাংশ সময় খেলাও হয় সফরকারীদের অর্ধে। কিন্তু ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে সিঙ্গাপুরকে চাপে রাখে বাংলাদেশ। আর সে সুযোগে ৬০ মিনিটে ব্যবধানও বাড়িয়ে নেয় স্বাগতিকরা। মাসুরা পারভীনের লং ক্রসের পেছনে ছুটছিলেন তহুরা। সিঙ্গাপুর গোলরক্ষকও বেরিয়ে আসেন পোস্ট ছেড়ে। বুদ্ধিদীপ্ত চিপে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তহুরা। ছুটির দিনে গ্যালারিতে আসা দর্শকরা মেতে ওঠেন উৎসবে। ৭৬ মিনিটে মারিয়ার শট পোস্ট ঘেঁষে চলে গেলে আরেকবার গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। একটু পর সানজিদা খাতুনকে তুলে শাহেদা আক্তার রিপাকে নামান কোচ। ৮৪ মিনিটে সাবিনার বাঁ দিকের বক্সের একটু বাইরে থেকে নেওয়া ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে আর ব্যবধান বাড়েনি। কোচ টিটুর অধীনে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল । সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পরও প্রথম জিতল মেয়েরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে কে এম স্পোর্টিং
পরবর্তী নিবন্ধস্পেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে ইসরায়েল