সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন

চিটাগাং উইম্যান চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৮ জুন, ২০২৪ at ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় সংসদে ২০২৪২০২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় চিটাগাং উইম্যান চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী বলেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের সিংহভাগ নারী উদ্যোক্তারা সিএমএসএমই খাতের আওতায় তাদের ব্যবসায় বাণিজ্য পরিচালনা করে। এই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন সম্ভব। নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বৃদ্ধিকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন নারীদের আয়করের সীমা ৪ লাখ টাকায় বৃদ্ধি করায় করদাতা ও উদ্যোক্তা নারীদের জন্য সহায়ক হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট ঘোষণা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বৃদ্ধি দেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। সংসদ সদস্যদের গাড়ির আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং স্বাস্থ্য খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব ইতিবাচক।

তিনি আরো বলেন, কর্পোরেট কর কমানো, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অগ্রিম কর হার অর্ধেক করা এবং সর্বোচ্চ করের হার ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করের ন্যায্যতা কিছুটা হলেও নিশ্চিত করবে। এছাড়া সিগারেট ও তামাকজাতীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি যুক্তিযুক্ত যা, ধূমপানে মানুষকে নিরুসাহিত করবে। ডায়ালাইসিস সেবায় ব্যবহৃত আমদানি পণ্যের উপর করের হার ১০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব অত্যন্ত মানবিক বলে মনে করি। শিশু খাদ্য পণ্যের উপর সম্পুরক শুল্ক তুলে নেওয়া এবং ল্যাপটপের উপর করের হার কমানো প্রযুক্তি নির্ভর কর্মকাণ্ডে সহায়ক হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে ক্যাশলেস হওয়ার শর্তে ১৯ খাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসাকে করমুক্ত করার প্রস্তাব এবারের বাজেটের বড় চমক ছিল বলে আমি মনে করি। সর্বোপরি প্রতিকূল সময়ে বিপুল অঙ্কের বাজেট বাস্তবায়ন ও বাজেটের ঘাটতি মোকাবেলা অত্যন্ত কঠিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাইক চোরের দল ‘প্রিপেইড সিন্ডিকেট’র ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধ২০ বছরে অবিশ্বাস্য সাফল্য