সিআরবি নিয়ে দ্বিমুখী অবস্থান নিয়েছে আ. লীগ : শাহাদাত

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৭ নভেম্বর, ২০২২ at ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

সিআরবি ইস্যুতে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তার দাবি, সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে দ্বিমুখী অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল করার অনুমোদন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখন আবার সিআরবিতে মিটিংয়ে অংশ নিয়ে তাদের নেতারা বলছেন, হাসপাতাল হবে না। হাসপাতাল না হওয়ার বিষয়ে নাকি ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনসভা থেকে ঘোষণা দিবেন। এখন আমাদের প্রশ্ন, আপনাদের হাসপাতাল করতে বলেছিল কে? হায়রে আওয়ামী লীগের রাজনীতি! এ ধরনের নোংরামি আর কত করবেন? আমরা সব বুঝি। আপনারা নিজেরাই একবার বলবেন হবে, আরেকবার বলবেন হবে না। আসলে আওয়ামী লীগ এখন কোনো রাজনৈতিক দলই না। আওয়ামী লীগ এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

নগর বিএনপির উদ্যোগে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়েজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বিকালে নগরীর আসকার দিঘির পাড়ে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা হয়। এতে প্রধান আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক হায়াত হোসেন। নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. ছিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, জাহিদুল করিম কচি, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, অ্যাডভোকেট মুফিজুল হক ভূইয়া, ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম।

দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই দাবি করে শাহাদাত বলেন, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হবে। আবার শনিবার আইনমন্ত্রী বললেন, নির্বাচনের আগে জেলে যেতে হবে না। তাহলে কি দাঁড়াল? আওয়ামী লীগ যেটা বলে বিচার বিভাগ সেটাই করে।
অ্যাপক হায়াত হোসেন বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে ৩ নভেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। সে চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক সিপাহি এবং জনগণ ৭ নভেম্বরে তাকে মুক্ত করে দেশে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছিলেন।

ড. ছিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে সেনাবাহিনী থেকে এসে যারা রাজনৈতিক দল গঠন করে তারা সব ক্ষমতা নিজের হাতে রেখে দেয়। ব্যতিক্রম ছিলেন জিয়াউর রহমান। বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি এককভাবে তিন ভাগের এক ভাগ আসন পাবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএমএর সাবেক সভাপতি ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজুউদ্দীন আহম্মদ মানিক, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, মন্‌জুর আলম মন্‌জু, আনোয়ার হোসেন লিপু ও মো. কামরুল ইসলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিপ্লব ও সংহতি দিবসে আজ বিএনপির কর্মসূচি
পরবর্তী নিবন্ধগরু চুরি মামলায় জামিন পাননি ছাত্রলীগ নেত্রী