সিআইইউতে ভিন্নধর্মী দেয়ালিকা প্রদর্শনী

| বৃহস্পতিবার , ৩০ মে, ২০২৪ at ৬:৩১ অপরাহ্ণ

কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে রিকশায় চড়ে হন্তদন্ত হয়ে সেই সকালে ক্যাম্পাসে ঢোকা। যাপিত ক্যাম্পাস লাইফের তারুণ্যমাখা জীবনটা যেন পড়ার চাপেই কেটে যায় সবার।

ক্লাসরুমে ঢুকেই স্যারদের লেকচার নেওয়া, লাইব্রেরিতে ঢুকে বই নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা কিংবা ক্লান্ত হয়ে গেলে ক্যান্টিনে ঢুকে কফি সিঙাড়া খেয়ে আবারও দৌড়ে ল্যাবে ঢোকা।

উফ! এত্তোসব ব্যস্ততার ভিড়ে সৃজনশীলতার চর্চাটা যেন হারিয়েই গিয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। কিন্তু তারুণ্যের ভাবনার কাছে কোনো ইচ্ছাই যে বাধার দেয়াল নয়, সেটারই একটা চমৎকার ছবি ফুটে উঠলো চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) শুরু হওয়া দেয়ালিকা প্রদর্শনীতে।

নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসে ইন্ডিপেন্ডেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাবের (আইসেক) আয়োজনে গত ২৮ মে থেকে শুরু হয়েছে দেয়াল পত্রিকার এই মাসব্যাপি প্রদর্শনী। এতে শিক্ষার্থীদের হাতে লেখা ক্যাম্পাস লাইফের নানান সংলাপ, প্রিয় উক্তি এবং পুরস্কারের ঝুলিগুলোর খণ্ডিত ছবি ঠাঁই পেয়েছে।

কেবল তাই নয়, তুলির রঙে রঙিন করা হয়েছে দেয়ালের পুরো ক্যানভাস। বাদ যায়নি আশপাশের বাতিঘর আর এ জি চার্চ স্কুলও। ‘এটা তো কমন সেন্সের ব্যাপার ভাই’, ‘লেইট কেনো? হোমওয়ার্ক করছো?’ এমন কিছু সংলাপও তুলে ধরা হয়েছে ক্যানভাসে।

সিআইইউর ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. রুবেল সেন গুপ্ত এই ধরণের সৃষ্টিশীল কাজ শিক্ষার্থীদের চিন্তার দুয়ার আরও প্রসারিত করবে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন। এই সময় অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ ইকবালও উপস্থিত ছিলেন।

ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আল নাঈম বলেন, ল্যাব-পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে রাত জেগে এসব লেখা এবং স্থির ছবি আমরা তৈরি করেছি। এই আয়োজনে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের জীবনটা কেমন হয় সেটার একটা ধারণা পাওয়া যাবে।

পুরো আয়োজনটি সফল করতে যারা নিরলস কাজ করেছেন সেসব শিক্ষার্থীদের ভেতর রয়েছেন: নীরা, উলফাত জেরিন, রাফিদ, নেহা,নাইমা, সুসমিতা, ফারাহ, আনিহা, জয়িতা, আশিক, নবনি, আকিব, সালেহ সিদ্দিক, সুমাইয়া, লামিয়াসহ আরো অনেকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ৫
পরবর্তী নিবন্ধতামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ প্রাণ হারান