নগরীর কোতোয়ালীতে ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা সরিয়ে ছিনতাই নাটক সাজানোর ঘটনায় আবু তৈয়ব (২৫) নামে এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোড থেকে তাকে আটকের পর গতকাল সোমবার বাঁশখালী উপজেলার একটি বাসা থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানার মিউনিসিপ্যাল হকার মার্কেটের মেসার্স শাহ আকতারিয়া স্টোরের মালিক জিয়াউল হকের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আবু তৈয়ব সাতকানিয়া উপজেলার দেওদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়ির আব্দুস সালামের ছেলে।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, আসামি আবু তৈয়ব ৭/৮ বছর ধরে ব্যবসায়ী জিয়াউল হকের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করছিলেন। জিয়াউল হক তাকে দিয়ে প্রায় সময়ই ব্যবসায়িক লেনদেন করাতেন। সে সুযোগ নিয়ে ছিনতাই নাটক সাজিয়ে টাকাগুলো সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল আবু তৈয়ব।
জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর জিয়াউল হক দোকানের মালামাল ক্রয়ের জন্য ঢাকায় যান। সেখানে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে টাকার প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় তিনি মোবাইলে কর্মচারী আবু তৈয়বকে ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৯শ’ টাকা সংগ্রহ করে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের জুবিলি রোড শাখায় প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু ওইদিন কর্মচারী আবু তৈয়ব ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার উদ্দেশে দোকান থেকে বের হওয়ার পর মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যান। ওইদিন রাতেই দোকানের মালিক ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফিরে এসে কর্মচারীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাকে মোবাইলে পাওয়া গেলে তিনি জানান, ঘটনার দিন দুপুরে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়াকালে লালদীঘি পাড় এলাকায় অজ্ঞাতনামা দুই ছিনতাইকারী তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এ সময় জিয়াউল তাকে তার সাথে দেখা করার জন্য বললে নানা অজুহাত দেখিয়ে এক পর্যায়ে ফোনটি বন্ধ করে দেন তিনি।
এরপর গত ৬ ডিসেম্বর আবু তৈয়বকে স্টেশন রোডে দেখতে পেয়ে দোকান মালিক জিয়াউল হক পুলিশকে খবর দিলে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গতকাল তাকে সাথে নিয়ে বাঁশখালী থানাধীন ছনুয়া নয়াপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে ৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। বাকি টাকাও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।