এ বছর ৫ জুলাই মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। ঐতিহাসিক ওই মিশনে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে জিতেছিল ৭–০ গোলে। এরপর বাংলাদেশের মেয়েরা বয়সভিত্তিক বেশ কিছু ম্যাচ খেললেও জাতীয় দলের আর খেলা হয়নি। সাড়ে তিন মাস পর ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দিয়ে আবার মাঠে ফিরছে লাল–সবুজ জার্সিধারী নারীরা। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ ও ২৭ অক্টোবর ব্যাংককে ম্যাচটি দুটি খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পিটার বাটলার ২৩ ফুটবলার নিয়ে যাচ্ছেন থাইল্যান্ডে। জুলাইয়ে মিয়ানমারে ইতিহাস রচনা করে এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল আফঈদা খন্দকাররা। আগামী মার্চে এশিয়ান কাপ হবে অস্ট্রেলিয়ায়। সেই বড় মঞ্চের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ দলের জন্য এই প্রীতি ম্যাচের ব্যবস্থা করেছে বাফুফে। এর আগে নারী ফুটবলাররা চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড এ তিন সপ্তাহের মতো বিশেষ ক্যাম্প করে এসেছেন।
ভুটানের লিগে অংশ নেওয়া ঋতুপর্ণা, মনিকা, মারিয়া, তহুরারাও যোগ দিয়েছেন। থাইল্যান্ড সফরের জন্য পিটার বাটলার ৪৩ জনকে ডেকেছিলেন। সেখান থেকে ২৩ জনের দল তৈরি করেছেন থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এই দুই ম্যাচের জন্য। যে ২৩ ফুটবলার নিয়ে মিয়ারমার গিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন পিটার বাটলার সেই দলে পরিবর্তন মাত্র দুটি। ডিফেন্ডার নীলুফার ইয়াসমিন নীলা ও ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতি বাদ পড়েছেন। দলে ঢুকেছেন ডিফেন্ডার রুমা আক্তার ও ফরোয়ার্ড সিনহা জাহান শিখা। বাংলাদেশ স্কোয়াড : গোলরক্ষক: রূপনা চাকমা, মিলি আক্তার, স্বর্ণা রাণী মণ্ডল। ডিফেন্ডার: নবীরন খাতুন, আফঈদা খন্দকার (অধিনায়ক), কোহাতি কিসকু, রুমা আক্তার, শামসুন্নাহার (সিনিয়র), হালিমা আক্তার, জয়নব বিবি রিতা, শিউলি আজিম। মিডফিল্ডার: মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী। ফরোয়ার্ড: উমেহলা মারমা, শাহেদা আক্তার রিপা, সুলতানা, সাগরিকা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), ঋতুপর্ণা চাকমা, সিনহা জাহান শিখা।












