রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ অস্ত্র আইনের মামলায় দোষী কি না সোমবার তা জানা যাবে। আজ সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকা মহানগর ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে সাহেদের। রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করছে, সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন তারা। তাই রায়ে সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। অন্যদিকে আসামিপক্ষ বলছে, অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, সেজন্য সাহেদ খালাস পাবেন। সাহেদের বিরুদ্ধে মোট ৩২টি মামলার খবর জানা আছে তার আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামানের। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ২০টি মামলার তথ্য দেওয়া আছে। কিন্ত এর বাইরেও ১০টি মামলার সন্ধান পেয়েছি আমরা। সাহেদের বিরুদ্ধে মামলার বেশিরভাগই প্রতারণার অভিযোগে করা। তবে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু সাহেদের বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে তা আদালতপাড়ার সাংবাদিকদের জানাতে পারেননি। গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে নতুন করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, এর চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।