অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে খালাস দিয়ে হাই কোর্টের রায় স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। সেই রায় প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তার খালাসের রায় স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। খবর বিডিনিউজের।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শাহ মঞ্জুরুল হক। কোভিড মহামারীকালে ২০০০ সালের ১৫ জুলাই অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন সাহেদ। পরে অস্ত্র মামলায় ওই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ আদালত।
অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ ‘প্রমাণ করতে না পারায়’ সাহেদকে গত ১১ জানুয়ারি খালাস দিয়েছিল বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ। অস্ত্র মামলা ছাড়াও সম্পদের হিসাব না দেওয়ার আরেক মামলায় ২০২৩ সালের ২১ অগাস্ট সাহেদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্তবর্তী শাখরা কোমরপুর এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই সময় তার কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ২৩৩০টি ভারতীয় রুপি, তিনটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ওইদিনই সকালে তাকে সাতক্ষীরায় নেওয়া পর এবং পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় রাতে সাহেদ ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামি করে এ মামলা করেন।
এটি ছাড়াও গ্রেপ্তারের পর সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিন ডজনের বেশি মামলা হয়। প্রতারণার ঘটনায় আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের এই চেয়ারম্যানকে জামিন দেয় হাই কোর্ট, পরে ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর যা জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ।