২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে আফ্রিকার পরাশক্তি মিশর। কাসাব্লাঙ্কায় জিবুতির বিপক্ষে ৩–০ গোলের সহজ জয়ে নিশ্চিত হয়েছে তাদের টিকিট। দলটির হয়ে জোড়া গোল করেন লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ। বাকি গোলটি আসে ইব্রাহিম আদেলের পা থেকে। এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে মিশর। আফ্রিকা থেকে এর আগে মরক্কো ও তিউনিসিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল, এবার তৃতীয় দল হিসেবে এই তালিকায় যোগ দিল মিশর। ম্যাচটিতে জোড়া গোল করা সালাহ বাছাইপর্বে করেছেন মোট ৯ গোল। শুধু গোল নয়, নেতৃত্ব দিয়ে নিজের দেশকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বহুল প্রতীক্ষিত আসরে। মিশর এর আগে তিনবার বিশ্বকাপে খেলেছে, তবে ২০২২ সালের কাতার আসরে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছিল। সেই আসরে আফ্রিকা মহাদেশে ইতিহাস গড়েছিল মরক্কো, যারা পৌঁছেছিল সেমিফাইনালে; তিউনিসিয়া বিদায় নেয় গ্রুপ পর্বেই। একই দিনে মরক্কোতে অনুষ্ঠিত আরেক ম্যাচে ঘানা ৫–০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিককে। গোলের বন্যায় নাম লেখান থমাস পার্টে, মোহাম্মদ সালিসু, আলেকজান্ডার ডিজিকু, অধিনায়ক জর্ডান আইয়ু এবং কামালদিন সুলেমানা। এখন কমোরোসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ড্র করলেই বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত হবে তাদের। এদিকে আফ্রিকার আরেক দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্দেও লিখছে ইতিহাস। লিবিয়ার মাঠে ২–০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৩–৩ ড্র করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বপ্নের আরও কাছাকাছি গেছে তারা। সেনেগালের উপকূলবর্তী ছোট এই দেশটির জনসংখ্যা মাত্র পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার। গ্রুপ ডি’তে ৯ ম্যাচ শেষে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে কেপ ভার্দে, তাদের চেয়ে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ক্যামেরুন। আগামী সোমবার প্রাইয়ায় এসওয়াতিনির বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত হবে কেপ ভার্দের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ। আফ্রিকার রেকর্ড আটবারের বিশ্বকাপ অংশগ্রহণকারী ক্যামেরুনও টিকে আছে যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে। মরিশাসে ২–০ ব্যবধানে জয় পায় তারা, যেখানে গোল করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড ব্রায়ান এমবিউমো। তবে জয় নিশ্চিত করতে ৯২ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় দলটিকে। এখন নিজেদের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে অ্যাঙ্গোলাকে হারাতে হবে, তাহলেই টিকে থাকবে তাদের সরাসরি যোগ্যতার আশা। যদি কেপ ভার্দে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়, তবে ক্যামেরুনকে সেরা চার রানার্স–আপের একটি হতে হবে, যাতে তারা নভেম্বরে অনুষ্ঠিত আফ্রিকার প্লে–অফে জায়গা পায়। সেই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের বিজয়ী দল দুটি যাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ইন্টার–কন্টিনেন্টাল প্লে–অফে, যেখানে ছয় দলের মধ্যে দুটি দল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে।