বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ‘আশ্বাসে’ আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান ছয় দিনের মাথায় অনশন ভেঙেছেন। গতকাল রোববার রাত ৯টার পরে তাকে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটক থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়; যিনি দলের নিবন্ধনের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে এ কর্মসূচি পালন করছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
আমজনতার দলের সভাপতি মিয়া মশিউজ্জামানের দাবি, তারেক অনশন ভাঙেননি। স্বাস্থ্যগত কারণে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে যাওয়ার পর অনশন ভাঙার ভিডিও পোস্ট করে তারেক ফেইসবুক লেখেন, লড়াই জারি থাকবে। এর আগে নির্বাচন ভবনের সামনে অনশনস্থলে সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তাদের অনুরোধে তারেক অনশন ভেঙেছেন। রাত ৮টার দিকে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে যান বিএনপির এই নেতা। আমজনতার দলের সভাপতি মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা কেউ তারেককে রাজি করাতে পারছিলাম না। অবশেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন সাহেব আসেন। তার অনুরোধে তাকে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটক থেকে স্বাস্থ্যগত কারণে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ তার দাবি, তারেক অনশন ভাঙেননি। স্বাস্থ্যগত কারণে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি আপিলের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা উপসচিব সহিদ আবদুস সালাম বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে তারেককে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটক থেকে হাসপাতালের দিকে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে নির্বাচন ভবনের সামনে অনশন করা তারেককে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আক্বাস আলী।
এর আগে নিবন্ধনের দাবিতে অনশনে থাকা আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেককে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার জন্য রোববার বিকালে আহ্বান জানান ইসির সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, আমজনতার দল আইনসম্মত পথে এগোলে ইসি বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।





