ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করা যায়নি ২৫ বছরেও। তিন দফা তদন্তের পর এ চিত্রনায়কের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলা হলেও তা মানতে রাজি নন তার পরিবার। তার মায়ের দাবি এটি ‘হত্যাকাণ্ড’। সালমানের ভক্তকূলও তেমনই বিশ্বাস করেন। সালমান শাহর মৃত্যুর ‘আসল রহস্য’ উদঘাটনের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তবে সর্বশেষ তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পারিবারিক কলহ আর স্ত্রী সামিরা হকের কারণে মা নিলুফা চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরীকে ছেড়ে থাকার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেই অভিমানী সালমান শাহ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। খবর বিডিনিউজের। ছেলের মৃত্যুর পর প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। কিন্তু পরে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান তিনি। তখন অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে সিআইডি জানায়, সালমান শাহ ‘আত্মহত্যা’ করেন।গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু সালমান শাহের মা লন্ডনে থাকায় ‘নারাজি’ দাখিলে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ৩১ অক্টোবর নতুন তারিখ রেখেছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, মামলার বাদী নীলা চৌধুরী লন্ডনে আছেন। তিনি দেশে ফিরে এলেই আমরা নারাজি দাখিল করব।