সামাজিক অসুখ উচ্চ রক্তচাপ ও লবণ-তেঁতুল সমাচার

আজ বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস

ডা. প্রবীর কুমার দাশ | শনিবার , ১৭ মে, ২০২৫ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ভূমিকা

উচ্চ রক্তচাপ বিশ্বজুড়ে এক নম্বর স্বাস্থ্য সমস্যা যাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী আক্রান্ত হয়, সব চেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়, সবচেয়ে বেশি ওষুধ ব্যবহৃত হয় এবং যা হৃদরোগ, ষ্ট্রোক, কিডনী রোগ সহ মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রধান রোগগুলোর অন্তর্নিহীত কারণ। মানব ইতিহাসে আদিকাল থেকেই এই রোগের অস্তিত্ব বিদ্যমান।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পর ১৯৪৫ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজেভেন্ট উচ্চ রক্তচাপ জনিত মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মৃত্যুবরণ করেন। তখন তার রক্তচাপ বেড়ে ৩৫০/১৯৫ মি.মি. এ পৌঁছে। বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন মানসিক চাপ ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা প্রেসিডেন্ট রুজভেন্টের এই অস্বাভাবিক রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই ঐতিহাসিক ঘটনা উচ্চ রক্তচাপের সামাজিক দিককে উন্মোচিত করে।

উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টির সাথে লবণের কারণগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় তদানিন্তন সামাজিক প্রেক্ষাপটে। সভ্যতার বিকাশের সাথে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ বাড়তে থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে বিভিন্ন সামাজিক দিক ভূমিকা রাখতে থাকে। তার মধ্যে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ও পরিবর্তিত জীবন যাত্রা অন্যতম। যদিও উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে কিছু জিনগত দিক ক্রিয়াশীল তার ক্রমবর্ধমান প্রকোপ পরিবেশগত, যার অধিকাংশই সামাজিক কারণে সৃষ্ট। এভাবে উচ্চ রক্তচাপ সাম্প্রতিককালে সামাজিক অসুখ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে যেমন সামাজিক দিক ক্রিয়াশীল তার নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধেও সামাজিক বিভিন্ন দিক কাজ করে। লবণ ব্যবহারে রক্তচাপ বৃদ্ধির বিপরীতে তা কমাতে মানুষ তৎপর হয়। দীর্ঘ দিনের পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতায় মানুষ দেখেছে তেঁতুল রক্তচাপ কমাতে পারে। লালাবদ্ধক হিসাবে বহুল পরিচিত এই ঠক ফলের রক্তচাপ কমানোর বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে অনুধাবন ও প্রতিষ্ঠা করতে মানুষ তৎপর হয়। যদিও এ বিষয়ে সহস্রবছর পূর্বের সনাতন ধর্মীয় গ্রন্থ ঋকবেদে উল্লেখ আছে। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। তা এন্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। পটাশিয়াম কিডনী মারফত সোডিয়াম নিষ্কাশনে সহায়তা করে। এভাবে তা লবণের রক্তচাপ বদ্ধক কাজকে প্রতিহত করে। এছাড়া তা রক্তনালীকে সুস্থ রাখে। ফলে রক্তচাপ কমে আসে। তেঁতুলের এই স্বাস্থ্য উপকারীতা অনুধাবন করে দক্ষিণ ভারতীয়রা অধিকহারে তেতুল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে থাকে। রক্তচাপ কমাতে তেঁতুল শীর্ষক বিভিন্ন গবেষণাও এখানে করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি এই বিষয়ক এক গবেষণা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পাদিত হয়। যা ২০২৩ সালে ন্যাশনাল লাইব্রেরী অব মেডিসিন প্রকাশ করে। এই গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় মিষ্টি তেতুলের চেয়ে টক তেুতল রক্তচাপ কমাতে বেশি কার্যকরী।

উচ্চ রক্তচাপের সেকালএকাল

একদা উচ্চ রক্তচাপ ছিল উন্নত বিশ্বের এবং উচ্চ আর্থ সামাজিক শ্রেণীভূক্ত মানুষের অসুখ। বিগত ৫০ বছরে তা স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের অসুখ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে, বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপের সর্বোচ্চ প্রকোপ এশিয়া ও আফ্রিকার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ সমূহে। একইভাবে উচ্চ রক্তচাপ জনিত জটিলতা ও মৃত্যু তথা হৃদরোগ, ষ্ট্রোক ও কিডনী রোগ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশ সমূহে উন্নত দেশের তুলনায় ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি। বিভিন্ন সমীক্ষা দেখিয়েছে উচ্চ রক্তচাপের জনসচেতনতা, চিকিৎসা এবং নিয়ন্ত্রণহার উন্নত বিশ্বে বেড়েছে কিন্তু তা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ সমূহে বাড়ছে ধীরলয়ে। ফলে এখানে উচ্চ রক্তচাপ থেকে যাচ্ছে আগোচরে। তা শনাক্ত হচ্ছে বিলম্বে কিংবা আদৌ শনাক্ত হচ্ছে না। এতে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ জনিত জটিলতা ও মৃত্যু। এদেশে ক্রমবর্ধমান হৃদরোগ, ষ্ট্রোক ও কিডনী রোগের তা অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত। উচ্চ রক্তচাপের রোগতত্ত্বীয় বিশ্লেষণে দেখা যায়, সমগ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের মধ্যে এই রোগের সচেতনতা বিদ্যমান, আবার যারা সচেতন তাদের অর্ধেকের কম চিকিৎসা গ্রহণ করে এবং যারা চিকিৎসা গ্রহণ করে তাদের অর্ধেকেরও কমে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটাই “অর্ধেকের নিয়ম” (ৎঁষব ড়ভ যধষভ)। ১৯৭০ সালে উন্নত বিশ্বের এক পর্যবেক্ষণে এই অর্ধেকের নিয়ম পরিলক্ষিত হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির সাথে তা এখানে অনেকটা পরিবর্তিত হলেও বাংলাদেশ সহ নিম্ন ও মাধ্যম আয়ের দেশসমূহে তা উন্নত হয়নি। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ শহর অঞ্চলে ৩০৫০% এবং গ্রামাঞ্চলে ২০৪০%। এই প্রকোপ ক্রমবর্ধমান। এখানে কমবয়সীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে। উচ্চ রক্তচাপের এই প্রকোপ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষায় নিয়োজত নীতি নির্ধারকদের দুশ্চিন্তার কারণ। তা বিবেচনায় এনে বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য অসংক্রমক রোগ চিকিৎসায় এনসিডি কর্তার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে উচ্চ রক্তচাপের জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তা সনাক্ত করা এবং চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশে কেন বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ?

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ বর্তমানে এক যুগসন্ধিক্ষণে উপনীত। এখানে ঘটেছে খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাত্রার প্রভূত পরিবর্তন। অতীতের সনাতনী খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাত্রা ছেড়ে পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাসে ও আধুনিক জীবন যাত্রায় মানুষ অভ্যস্ত হচ্ছে। রোগতত্ত্বীয়ভাবে এখানে সংক্রামক রোগের স্থলে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটছে উচ্চ রক্তচাপ তাদের অন্যতম। তার অন্তর্নিহীত কারণ সমূহ নিম্নরূপঃ

* বয়োবৃদ্ধিএখানে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এতে বেড়েছে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সাথে বাড়ছে রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা। কারণ বয়োবৃদ্ধিতে রক্তচাপ বাড়ে।

* খাদ্যাভ্যাসপরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাসে উচ্চ ক্যালরী সমৃদ্ধ চর্বিযুক্ত খাবার ও লবন গ্রহন। লবনের সাথে উচ্চ রক্তচাপ ঐতিহাসিকভাবে সম্পর্কিত। লবনস্থ সোডিয়াম রক্তনালীকে সংকুচিত করে, শরীরের জলীয় অংশ বৃদ্ধি করে। পরিনামে রক্তচাপ বাড়ে। উচ্চ ক্যালরীযুক্ত খাবার মেদবাহুল্য সৃষ্টি করে। তার পাশাপাশি কম ফলমূল ও শাকসবজি গ্রহণও রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ।

* জীবন যাত্রার পরিবর্তনকম কায়িকশ্রম, অলস জীবনযাত্রা, ব্যায়ামের অভাব সরাসরি কিংবা মেদ বাহুল্য সৃষ্টির মাধ্যমে রক্তচাপ বাড়ায়।

* মেদবাহুল্যপরিবর্তিত খাদ্যভ্যাস ও জীবন যাত্রা বাড়াচ্ছে মেদবাহুল্য। শরীরের ওজনের সাথে রক্তচাপ বৃদ্ধি সরাসরি সম্পর্কিত।

* ধূমপান ও তামাক সেবনএতে থাকা নিকোটিনে রক্তনালী সংকুচিত হয় এবং রক্তচাপ বাড়ে। বাংলাদেশে এখন শতকরা ৪৮ জন প্রাপ্ত বয়স্ক ধূমপান ও অন্যান্য তামাক সেবনে অভ্যস্ত।

* আর্থিক অচ্ছলতা দারিদ্র, পুষ্টিকর খাবারের অভাব, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ক্রয় ও তার দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া আর্থিক কারণে সম্ভব হয়ে উঠে না।

* মানসিক চাপবৈরী পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ, কর্মক্ষেত্রের চাপ, প্রতিযোগিতামূলক জীবনযাত্রা মানসিক চাপ বাড়ায়। এতে রক্তচাপ বাড়ে সমানতালে।

* পারিপার্শ্বিক অবস্থাহাঁটা ও ব্যায়ামের জন্য উন্মুক্ত সবুজ মাঠের অভাবে নাগরিক জীবনে ব্যায়ামের সুযোগ সুবিধা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। উচ্চ মাত্রার বায়ু দূষণও উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে।

সমাধানে সামাজিক পদক্ষেপ

সামাজিক এই সমস্যা সমাধান সামাজিকভাবেই সম্ভব। এই প্রসঙ্গে আমেরিকার “ঐবধষঃযু ঢ়বড়ঢ়ষব ২০৩০” এর উদ্যোগ প্রনিধানযোগ্য। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে সাধারণ মানুষের সুস্বাস্থ্য বিধানে ৫টা ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবায় সহজলভ্যতা, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এবং সামাজিক উন্নয়ন। সম্প্রতি সম্পাদিত ২৪৩৫ বছর বয়সী ১৪২১৯ জন আমেরিকান নাগরিকের উপর করা এক জরীপ দেখিয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, আয় ও বিবাহিত অবস্থা সিস্টোলিক রক্তচাপ কমায়। পাশাপাশি বয়োবৃদ্ধি, পুরুষ লিঙ্গ, কৃষ্ণবর্ণ, উচ্চ শারীরিক ওজন, ধূমপানের অভ্যাস এবং এলকোহল সেবন তা বৃদ্ধি করে। এভাবে এই জরীপ নিম্ন আর্থসামাজিক অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপের এক ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

উপরোক্ত বিষয়াদির আলোকে উচ্চ রক্তচাপের সচেতনতা, চিকিৎসা

ও নিয়ন্ত্রণ উন্নতকল্পে নিম্ন পদক্ষেপ গৃহীত হওয়া বাঞ্ছনীয় :

* অর্থনৈতিক দরিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি।

* শিক্ষাহার বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য শিক্ষাকে তাতে অন্তর্ভুক্ত করা।

* স্বাস্থ্যসেবা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে সেবা উন্নয়ন। ওষধ সহজলভ্য করা, তা ক্রয় সীমায় অনায়ন, স্বাস্থ্য শিক্ষার মান বৃদ্ধি, রক্তচাপ সনাক্ত করণে অধিকতর গুরুত্ব আরোপ।

* চিকিৎসক পর্যায়ে পদক্ষেপসকল শ্রেণীর চিকিৎসকদের জন্য রক্তচাপ পরিমাপকে রোগী চিকিৎসার রুটিন কার্যক্রম হিসাবে গ্রহণ করা। এতে রক্তচাপ সনাক্ত করা সহজ হবে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গাইডলাইন অনুসরণে চিকিৎসা দান এবং রক্তচাপ সনাক্তকরণ ও তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে অনীহা পরিহার করা, যাতে তার চিকিৎসা দানে অহেতুক বিলম্ব না ঘটে। পেশাগত ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ সনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সময় প্রদান করা।

* কম্যুনিটি পর্যায়েলবণের যত্রতত্র ব্যবহার সীমিত করা, লবণের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, তেঁতুল গ্রহণে উৎসাহিত করা এবং সামাজিক বনায়নে তেতুল গাছ রোপণ ও তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ। সবুজ সবজী ও অন্যান্য ফলমূল গ্রহণে উৎসাহিত করা।

উপসংহার

উচ্চ রক্তচাপের সাথে সামাজিক বিভিন্ন অনুসঙ্গ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই সামাজিক দিক সমূহের সঠিক ব্যবস্থাপনায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ অনেকাংশে সম্ভব। তবে তার জন্য রক্তচাপ সঠিকভাবে পরিমাপ অপরিহার্য। তাই ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবসের ‘স্লোগান’ “আপনার রক্তচাপ সঠিকভাবে মাপুন, তা নিয়ন্ত্রণ করুন, দীর্ঘায়ু হোন।”

গত ৫ বছর যাবৎ এই স্লোগানকে ধারণ করে ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লীগ সারাবিশ্বে এই কর্মসূচি পালন করে আসছে। তাই আসুন আমরা সবাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সামাজিক

দিকগুলোর সঠিক পরিচালনার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ভূমিকা রাখি।

লেখক

সেক্রেটারি জেনারেল, চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন ও সভাপতি

বাংলাদেশ হাইপারটেনশন এন্ড হার্ট ফেইলিউর ফাউন্ডেশন

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধকিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অচিরেই রুদ্ধ হোক