সামনে বিরাট ক্রান্তিকাল, নির্বাচন যত দ্রুত তত মঙ্গল : ফখরুল

| শনিবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

সামনের সময়টাকে ‘ক্রান্তিকাল’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘নির্বাচন যত দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল।’ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর সদরে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত’ নাগরিক ভাবনা নিয়ে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের কথা বলছে। তবে সেটা হতে হবে টেকসই। তাতে জনগণের সমর্থন থাকতে হবে। নির্বাচিত সরকার শক্তিশালী হয়, কারণ তাদের পেছনে জনগণ থাকে, তখন সংস্কার কাজ করা সহজ হয়। খবর বিডিনিউজের।

ফখরুল বলেন, সামনে বিরাট ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে হটিয়েছি। সেই ঐক্যকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণ করতে হবে। অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবার বিবোধ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। সংবিধানে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা আছে। দৈব দুর্বিপাকে সেটি করা না গেলে আরও ৯০ দিন সময় নেওয়া যায়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, আগে ‘সংস্কার’ পরে নির্বাচন। বিএনপি বারবার তাগাদা দিলেও নির্বাচনের কোনো রূপরেখা দিচ্ছে না সরকার। এর মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই নানা আয়োজনে নেতারা নির্বাচনের দাবি করেই যাচ্ছেন।

বিএনপির লড়াইয়ে গোল দিয়েছে ছাত্ররা’ : সরকার পতন আন্দোলনে বিএনপির কৃতিত্বও দাবি করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ১৬ বছরের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৭০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন ও পঙ্গু করা হয়েছে। গ্রামগঞ্জে নেতাকর্মীরা রাতে বাড়িতে থাকতে পারেননি, ধান ক্ষেত ও গাছের ওপরে ঘুমিয়েছেন।

দীর্ঘ এই আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শেষে ‘গোলটা’ ছাত্ররা ভালোভাবে করতে পেরেছে মন্তব্য করে তাদেরকে ‘স্যালুট’ জানান বিএনপি মহাসচিব। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল না। তারা কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, পরে ও গত ১৬ বছরে তারা সেটা প্রমাণ করেছে। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ স্বাধীনতার পর দেখলাম উল্টোটা। আমাদের দুর্ভাগ্য, ৫৩ বছর পরও সেই গণতন্ত্রের কথাই আমাদের বলে যেতে হচ্ছে।

যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বক্তব্য দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএ শহরে কবিতা নিয়ে উৎসব
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হচ্ছে : পুতিন