জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাতিল করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফের করা চারটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই সব এনআইডির কোনো সুবিধা দেশে আর মিলবে না। খবর বিডিনিউজের।
আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা–মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এখন তাদের চারটি এনআইডিই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ইসির সার্ভার থেকে। ফলে এনআইডি যাচাই সংক্রান্ত কোনো সেবা আর তারা পাবেন না।
হারিছ ও জোসেফের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি পরিবর্তনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে এসেছে জানিয়ে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত জুনে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, আজিজ সাহেবের ভাই বোন, হারিছ চৌধুরী (খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তার রাজনৈতিক সচিব), বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেম উদ্দিনের পরিবার ভুল তথ্য দিয়ে এনআইডি করেছে জেনেছি। ২০–২৫ বছর পর হঠাৎ জানা গেল। এখন দুটো তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
অভিযোগ যা ছিল : প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মোহাম্মদ হাসান নামে ২০১৪ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছিলেন হারিছ আহমেদ। ২০১৯ সালে তিনি এনআইডিতে নিজের ছবি পরিবর্তন করেন। আজিজ আহমেদের আরেক ভাই তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ দুটি এনআইডি নিয়েছেন। এর একটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে, তানভির আহমেদ তানজীল নামে। অন্যটি করেছেন তোফায়েল আহমেদ জোসেফ নামে। আইন অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি করা এবং একাধিক এনআইডি করা–দুটিই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।