সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরীসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আরো ২০/২৫ জনকে অজ্ঞানামা আসামি করা হয়।
২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনায় মোহাম্মদ আলমগীর নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী আলমগীর চন্দনাইশ পৌরসভার মধ্যম চন্দনাইশের মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে এবং চন্দনাইশ পৌরসভা গণতান্ত্রিক শ্রমিকদলের সহসভাপতি।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগের রাত ১টার সময় চন্দনাইশ পৌরসদর আইডিয়াল স্কুল ভোট কেন্দ্রে আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোট ডাকাতি করে। এ সময় মামলার বাদী আলমগীরসহ স্থানীয়রা বাধা প্রদান করতে এগিয়ে আসলে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করলে কমপক্ষে ১৬ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলমগীর বাদী হয়ে সাবেক শ্রম ও কর্সংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, তার ভাই জসীম উদ্দীন চৌধুরী মন্টু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, তার ভাই আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মু. মাহাবুবুল আলম খোকা, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এএসএম মুছা তছলিম, জোয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আফতাব মাহামুদ শিমুলসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরো ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এবং নিরাপত্তার অভাবে মামলাটি দায়ের করতে বিলম্ব হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করেন বাদী।
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা উক্ত বিষয়ে চন্দনাইশ থানায় মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।