পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে তিন হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এনে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে। গত রোববার দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান বরাবর এ আবেদন করা হয়। খন্দকার গোলাম ফারুক টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার ঘাটান্দী এলাকার মৃত খন্দকার হায়দার আলীর ছেলে। খবর বাংলানিউজের।
অভিযোগে জানা যায়, গোলাম ফারুক চাকরিজীবনে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সারা দেশ থেকে এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। গোলাম ফারুক বাংলাদেশের নাগরিক, সেই সঙ্গে তার রয়েছে আমেরিকারও গ্রিন কার্ড। সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের স্ত্রীর ভাই–বোনেরা আমেরিকার নাগরিক। তারা স্থায়ীভাবে সেখানেই বসবাস করেন। গোলাম ফারুক নিকট আত্মীয়দের মাধ্যমে তার অবৈধ আড়াই হাজার কোটি টাকা আমেরিকায় পাচার করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ও নগদ টাকা রয়েছে তার। কৌশলগত কারণে এ সম্পদ ও নগদ টাকা নিকট আত্মীয়, স্বজনদের নামে এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনে এসি হিসেবে যোগদান করে বিভিন্ন আভিযানের মাধ্যমে অপরাধ দমনের নামে প্রায় ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন গোলাম ফারুক। এরপর ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে ১৫০ কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন। রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার থাকার সময় চাকরির শেষ সময়ে ব্যাপক অবৈধ ক্ষমতা খাটিয়ে ১৪৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। যার মধ্যে আড়াই হাজার কোটি টাকা আমেরিকায় পাচার করেছেন। বাকি ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের স্ত্রী শারমীন আক্তার খানের নামে জমি, বাড়ি কেনা হয়েছে। এছাড়া তার একাধিক অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা রয়েছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহে তার স্ত্রী এবং নিজের নামে প্রচুর জমি রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে–এ বিষয়ে তার কাছে জিজ্ঞেস করেন। আর আমার বিরুদ্ধে যে হত্যা মামলা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো।