রাজধানীর গুলশানের একটি বাসায় ঢুকে তছনছ ও ভাঙচুরের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যাদের মধ্যে ওই বাড়ির সাবেক কেয়ারটেকারও রয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে ঘটনার পরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (মিডিয়া) উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। গ্রেপ্তাররা হলেন– জুয়েল খন্দকার (৪৮), শাকিল খন্দকার (২৩) ও শাকিল আহমেদ (২৮)। এদের মধ্যে জুয়েল ও শাকিল বাবা–ছেলে। তাদের কাছে সোনার আংটি ও গলার চেইন পাওয়া গেছে। খবর বিডিনিউজের।
ঘটনার সময় জাতীয়তাবাদী চালক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেওয়া জুয়েল খন্দকারকে লোকজনকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে দেখা গিয়েছিল। আর শাকিল আহমেদ গুলশান–২ এর ৮১ নম্বর সড়কের ৮ আই নম্বর বাড়িতে এক সময় কেয়ারটেকার ছিলেন বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার ওসি মাহবুবুর রহমান। এই ঘটনায় বাসার কেয়ারটেকার আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে গ্রেপ্তার তিনজনসহ ১৪–১৫ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে গুলশান থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, শাকিল আহমেদ মূলত জনতাকে তথ্য দিয়েছে যে, বাসাটিতে তল্লাশি চালালে ২০০–৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে। যারা বাসায় ঢুকেছিল তারা মূলত লুটপাটের জন্যই ঢুকেছিল বলে ধারণা এই পুলিশ কর্মকর্তার। তবে বাসাটি থেকে কোনো মালামাল লুট হয়েছে কি না প্রাথমিকভাবে সেই তথ্য দিতে পারেননি ওসি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের বাড়ি এমন দাবি তুলে মঙ্গলবার রাতে তল্লাশির নামে একদল লোক গুলশানের ২ এ শাহাবুদ্দিন পার্কের পাশের ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র–জনতার হত্যাকারীরা লুকিয়ে আছে– এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে তল্লাশি করার কথা বলেন তারা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে পুলিশ যায়। রাত দেড়টার দিকে যান সেনা সদস্যরা। ততক্ষণে ওই বাড়ির ভেতরে সবকিছু তল্লাশির নামে তছনছ করে ফেলা হয়। পরে জানা যায়, বাড়িটি তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর, যার সঙ্গে তানভীরের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে ২০–২৫ বছর আগে।