চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে পটিয়া আল জামিয়া আল ইসলামিয়ার (পটিয়া মাদরাসা) ছাত্র মো. নুরুল হাসান বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা করেন।
মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীসহ উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা লিটন বড়ুয়া, যুবলীগ নেতা ডি এম জমির উদ্দিন, চেয়ারম্যান এহসানুল হক, ফৌজুল কবির কুমার, ইনজামুল হক জসিম, আবদুর রাজ্জাক, আবুল কাশেম, জাকারিয়া ডালিম, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম খান টিপু, মো. সেলিমসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
মামলায় চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মোট ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা সবাই পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে আছেন পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহিম সরকার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট অভিযুক্তদের অতর্কিত হামলায় ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী গুলিবৃদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। শুধু তা-ই নয়, বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া পথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে তারা।
এক পর্যায়ে ছাত্রদের ওপর গুলি ছুড়লে আরিফুল ইসলামের মাথায় এবং মো. রাইহানসহ গুলিবিদ্ধ হন। তা ছাড়া আসামিরা বিভিন্ন দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, পটিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলার অভিযোগে পটিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় পটিয়ার সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৭৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ মামলার আসামি কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়ে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। আসামির চাঁদাবাজির মামলায় জামিন দিলেও পটিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক বেগম তাররাহুম আহমেদ।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, কাশিয়াইশ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে রবিবার তার ইউপি কার্যালয় থেকে জনরোষের শিকার হতে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর একটি টিম থানায় হস্তান্তর করে। তাকে থানায় হস্তান্তর করার পর থেকেই তার এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ জমা দেয় থানায়।