সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর রাউজানের গহিরার গ্রামের বাড়ি থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি দু’নলা বন্দুক, একটি এক নলা বন্দুক, একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও একটি রিভলবার, ৫ রাউন্ড রিভলবারের গুলি ও দুটি লেডবল কার্তুজ। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে। এ ঘটনায় রাউজান থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে ফজলে করিম চৌধুরীর নগরীর খুলশীর ফ্ল্যাটেও অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে খুলশী আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর সড়কের ইমপেরিয়াল হিলের একটি ভবনের ওই ফ্ল্যাটে এ অভিযান চালানো হয়। প্রায় ১ ঘণ্টার এ অভিযানে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। কোনো মানুষও ওই ফ্ল্যাটে ছিল না। খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খুলশী থানা এলাকায় থাকা সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়েছে। জেলা পুলিশের একটি টিমের সাথে আমাদের একটা টিমও ছিল। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। তবে মানুষ কিংবা অন্য কিছু সেখানে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে আমরা চলে আসি।
রাউজান থানার এসআই সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, গহিরা এলাকায় থাকা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযানের সময় বাড়ির কেয়ারটেকার সাথে ছিলেন বলেও জানান তিনি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফজলে করিমকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি। এরপর ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টার মামলা দিয়ে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে ছিলেন। কিন্তু রাউজান থানার দুটি মামলায় হাজির করার জন্য চট্টগ্রাম আদালত থেকে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট পাঠানো হলে গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।