কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে গতকাল বুধবার তোলা হয় কক্সবাজার–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কারান্তরীণ জাফর আলমকে। এদিন সকাল ৯টার পর তাকে জেলা পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়।
পুলিশ জানায়, এ সময় আদালতে সাতটি মামলায় জাফর আলমকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে বেশ কয়েকদিন করে প্রতিটি মামলায় রিমান্ডের পৃথক আবেদন জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এ সময় আদালতে প্রায় আধঘণ্টা ধরে শুনানি শেষে বিচারক মো. আনোয়ারুল কবির সাতটি মামলায় (দুটি হত্যা, দুটি হত্যাচেষ্টা ও তিনটি বিষ্ফোরক আইন) সর্বমোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, জাফর আলম চকরিয়া থানার পাঁচটি ও পেকুয়া থানার দুটি মামলার আসামি। তন্মধ্যে চকরিয়া থানার ৫টি মামলায় ১৪ দিন এবং পেকুয়া থানার ২টি মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এর পর জাফর আলমকে কাঠগড়া থেকে চকরিয়া থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। দৈনিক আজাদীকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এপিপি মঈন উদ্দিন নিজেই।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘চকরিয়া থানার পাঁচটি মামলায় আদালত কর্তৃক মঞ্জুর করা ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে আদালত থেকে চকরিয়া থানায় আনা হয়েছে। রিমান্ড শেষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চকরিয়া আদালতের অদূরে মগবাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে এগারটার পর চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বের করা হয় বিক্ষোভ মিছিল। এ সময় জাফর আলমকে খুনি অ্যাখ্যা দিয়ে তাঁর ফাঁসির দাবি জানানো হয় মিছিল থেকে। মিছিলটি চকরিয়া পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথা থেকে চকরিয়া থানা হয়ে আদালত চত্বর পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়।