সাবেক এমপিদের ১৪ ল্যান্ডক্রুজার নিলামে কিনতে চায় ৩২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

৪৪টি গাড়ির জন্য দরপত্র জমা পড়েছে ১৩৭টি

জাহেদুল কবির | সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:০২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সাবেক সংসদ সদস্যদের (এমপি) গাড়িসহ ৪৪ গাড়ির নিলামে মোট দরপত্র জমা পড়েছে ১৩৭টি। এছাড়া সাবেক এমপিদের ২৪ গাড়ির মধ্যে দরপত্র জমা পড়েছে ১৪টিতে। এসব গাড়ি কিনতে ৩২ ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম কমিটি দরপত্র যাচাইবাছাই করে বিক্রয় অনুমোদন দিবেন বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্তারা। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে নিলামের প্রস্তাবিত দরপত্র দাখিলের সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) সরেজমিনে এসব গাড়ি দেখার সুযোগ পান।

জানা গেছে, নিলামে তোলা ৪৪ গাড়ির মধ্যে ২৪টি সাবেক এমপিদের জন্য আনা বিলাসবহুল ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি। নিলামে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা। এছাড়া দুটি ল্যান্ডক্রুজার আগে আমদানি করা। অপরদিকে নিলামে তোলা হয়েছে পাঁচটি টয়োটা হ্যারিয়ার, দুইটি টয়োটা র‌্যাভফোর, একটি টয়োটা এস্কোয়ার এবং চীনের তৈরি হেভি ডিউটির সিনো ডাম্প ট্রাক ১০টি নিলামে তোলা হয়। এছাড়া সবচেয়ে বেশি ২০টি দরপত্র পড়েছে ২০১৯ মডেলের টয়োটা এস্কোয়ারে, ২০১৮ মডেলের একটি টয়োটা হ্যারিয়ারে জমা পড়েছে ১৩টি ও ২০২০ মডেলের একটি টয়োটা হ্যারিয়ারে ৯টি দরপত্র জমা পড়েছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, গাড়ির নিলামে বিডারদের অনেক আগ্রহ দেখছি। সাবেক এমপিদের আনা গাড়িগুলোতেও বিড হয়েছে। তবে অন্য গাড়িগুলোতে বিডারদের আগ্রহ বেশি দেখছি। আগামীকাল (আজ) দুপুর দুইটায় দরপত্রের বাঙ খোলা হবে। তখন আমরা কারা কত দর দিয়েছেন তা জানতে পারবো। এরপর সেগুলো যাচাইবাছাই শেষ করে কারা কারা গাড়ি পেলেন তা প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবহির্নোঙরে স্থবিরতা কাটাতে বিশেষ উদ্যোগ
পরবর্তী নিবন্ধট্রাফিক বক্সের সামনে গোলাকার বস্তু, বোমা সন্দেহে আতঙ্ক