সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে কর্মযজ্ঞ

আসছে বিদেশি বিনিয়োগ

টেকনাফ প্রতিনিধি | শনিবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরের ঢেউ আর বিশ্বের দীর্ঘতম বালিকাময় সমুদ্র সৈকত ঘেঁষে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের কাজ এগিয়ে চলেছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পাশে এই ট্যুরিজম পার্কটি ১ হাজার ৪৭ একর জমির উপর থাইল্যান্ডের পাতায়ার সৈকতের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই পার্কটির চলমান কাজ শেষ হলে প্রতিদিন সেখানে দেশি-বিদেশি ৪০ হাজার পর্যটক যাতায়াত করতে পারবেন। পর্যটন অঞ্চলটি চালু হলে সেখান থেকে মাত্র আধা ঘণ্টায় যাওয়া যাবে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে।

সাবরাং পর্যটন অঞ্চলে বিনিয়োগ হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেখানে থাকবে পরিবেশবান্ধব শহর, সুন্দরবনের থিম পার্ক ও নাইট সাফারি, রয়্যাল ক্যাসিনো, গলফ ক্লাব, অ্যাকোয়ারিয়াম, জাদুঘর, হেরিটেজ পার্ক, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, ক্লাবসহ অন্যান্য সুবিধা। এছাড়া থাকছে ১০০ শয্যার হাসপাতাল এবং একটি স্কুলও। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনটি তারকা হোটেল নির্মাণের কাজ শুরুর মধ্যদিয়ে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এছাড়া ৯টি পর্যটনবান্ধব প্রতিষ্ঠানের আরও ২১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার কথা রয়েছে। এই বিনিয়োগকারীর তালিকায় নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। বর্তমানে এই পর্যটন অঞ্চলের প্রশাসনিক ভবন ও ভূমি উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা বাঁধ, সেতু-কালভার্ট তৈরিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।

সমপ্রতি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় টেকনাফের সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের ভূমি উন্নয়ন বাবদ ১৮০ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ২৪৮ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর আগে কক্সবাজারের সীমান্ত শহর টেকনাফের সাবরাং এ মিঠাপানি সরবরাহের বড় পরিকল্পনা হাতে নেয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

সূত্র মতে, অতিরিক্ত লবণাক্ত পানিতে তৈরি হওয়া সঙ্কট দূর করে বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি করতে এমন পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। ওই প্রকল্পের আওতায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উখিয়ার পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে মিঠা পানি যাবে। বেজার নিজস্ব উদ্যোগে নেয়া এই পরিকল্পনা অনুসারে ২০৫০ সাল পর্যন্ত ছয়টি ধাপে বাস্তবায়ন হবে এই প্রকল্প। সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা অত্যাধুনিক এই অঞ্চল ব্যাপক পর্যটক আকর্ষণে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেজা সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের মতো ইউটিলিটির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সর্বশেষ গত রোববার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের প্রশাসনিক ভবনসহ ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপের আঙিনায় ম্যারাডোনাকে স্মরণ