সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলের ফাইনালে আজ ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি

স্পোর্টস ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

সাফ অনূর্ধ্ব১৯ নারী ফুটবলের ফাইনালে আজ বৃহস্পতিবার মুখামুখি হচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ এবং ভারত। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় ট্রফি জয়ের জন্য লড়াইয়ে নামবে দু’দল। ম্যাচের আগে বাংলাদেশের চাওয়া আগে জেতা শিরোপা ধরে রাখা, আর ভারতের চাওয়া তা ছিনিয়ে নিয়ে দেশে ফেরা। দুই দলই শিরোপা জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায়। সমমানের দুই দলের উত্তেজনাপূর্ণ এক ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় সবাই। এবারের রাউন্ড রবিন লিগে দেখা হয়েছিল দুই দলের। সেখানে বিজয়ের হাসি হেসেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কোচ টিটু বলেছেন, ‘এটা ভিন্ন টুর্নামেন্ট, তুলনামূলক ভালো দলটিই জিতবে। ভারতের বিপক্ষে প্রথম যে ম্যাচটা খেলেছিলাম, সেখানেই তো বুঝেছিলাম ওরা কঠিন প্রতিপক্ষ। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছিল ওটা। ফাইনালেও ভারতকে সমীহ করতে হবে। ওভাবে নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে।’ একদিন বিরতি দিয়ে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। তবে মাঠে খেলেই চ্যাম্পিয়ন হতে হবে তা মনে করিয়ে দিলেন টিটু, ‘ফাইনাল এমন একটা বিষয়ৃ আপনার শরীর চলবে না, কিন্তু মন চাইবে ভালো করার। ভারত ক্লান্ত থাকলেও ওভাবেই আসবে, আমাদের ওভাবেই খেলতে হবে। ফাইনালে যে কোনও দলই জিততে পারে। যারাই চ্যাম্পিয়ন হয়, সেরা দলকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হতে হয়।’ এবারের আসরে গোলের পরিসংখ্যানে ভারত অনেক এগিয়ে। তাদের আক্রমণভাগ বেশ ক্ষুরধার। তিন ম্যাচে তারা গোল দিয়েছে ১৪টি, হজম করেছে মাত্র ১টি। সেখানে তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ৮টি দিয়ে খেয়েছে ১টি। রাউন্ড রবিন লিগে হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছেন ভারতের পুজা, শিবানি দেবি। ৪ গোল নিয়ে পুজা গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে। বাংলাদেশে হয়ে সর্বোচ্চ ৩ গোল করেছেন সাগরিকা; বাকি পাঁচ গোলদাতাঐশী খাতুন, মুনকি আক্তার, নুসরাত জাহান মিতু ও তৃষ্ণা রানী। টিটু আরো বলেন ‘ওদের আক্রমণভাগে কয়েকজন দ্রুত গতির খেলোয়াড় আছে। মাঝমাঠে ওদের পাসগুলোর জোগান নষ্ট করে দিতে হবে। তবে ফুটবল মজার খেলা। অনেক কিছুই এখানে হতে পারে। কিন্তু শিরোপা যেন আমাদের হাতছাড়া না হয়, আমাদের তো এটার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাই থাকবে। আপনারা জানেন, মেয়েদের স্বীকৃতির একটা ব্যাপার আছে। চ্যাম্পিয়ন হলেই ভালো স্বীকৃতি পায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও স্বীকৃতি দেন। মেয়েরা সেই সুযোগটা তো নিতে চাইবেই। ‘ভারতের কোচ শুক্লা দত্তের কণ্ঠে প্রতিশোধের ঝাঁঝ নেই, কিন্তু রাউন্ড রবিন লিগের হারের ক্ষতটা ভালোভাবেই মনে রেখেছেন। তবে সরাসরি কিছু বলতে চাননি। হয়তো মাঠেই দেখাতে চাইছেন সবকিছু। শুক্লা বলেছেন, ‘প্রতিশোধ এই মানসিকতা আমার মধ্যে নেই। খেলতে এসেছি, খেলবো। আবার বাংলাদেশের সঙ্গে দেখা হচ্ছে (ফাইনালে), সেটাই বড় ব্যাপার। আমারও ভালো লাগবে বাংলাদেশের সঙ্গে আবারও খেলতে, একটা ম্যাচ ওদের বিপক্ষে খেলেছি (হেরেছি), দেখা যাক, ফাইনালে কী হয়।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধখুলনাকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে কুমিল্লা
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ২৯.২৩ কোটি টাকা