উত্তরা ব্যাংক লালদিঘি শাখার ১০৫ কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৮১৪ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলায় চট্টগ্রামের সাদ মুসা গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ মহসিন ও তার স্ত্রী শামীমা নারগিছ চৌধুরীকে ৫ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে এ দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঋণ নেওয়ার পর খেলাপিতে পরিণত হলে ২০২০ সালে তাদের বিরুদ্ধে একটি অর্থঋণ মামলা করে উত্তরা ব্যাংক লালদিঘি শাখা। ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর এ মামলায় ডিক্রি হয়। এতে ৬০ দিনের মধ্যে ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দায়িকরা উক্ত নির্দেশ অমান্য করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৮ নভেম্বর ১০৫ কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৮১৪ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ জারি মামলা দায়ের করে ডিক্রিদার ব্যাংক।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, ঋণের বিপরীতে কোনো বন্ধকী সম্পত্তি না থাকায় নিলাম কার্যক্রম করা সম্ভব হয়নি। এজন্য ১০ মার্চ ডিক্রিদার ব্যাংক দায়িক মোহাম্মদ মহসিন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থঋণ আইনের ৩৪ ধারা মোতাবেক দেওয়ানি আটকাদেশ প্রদানের আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৮ এপ্রিল তিন কোটি টাকা পরিশোধের জন্য দায়িকদের নির্দেশ দেয় আদালত। তারা উক্ত আদেশ চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে উচ্চ আদালত তিন কোটি টাকা পরিশোধের আদেশটি গত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে তিন কোটি টাকা পরিশোধের জন্য দায়িকদের নির্দেশ প্রদান করে। ব্যর্থ হলে স্থগিতাদেশ খারিজ হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়।
তিনি বলেন, নির্দেশিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও আজকে পর্যন্ত তারা কোনো টাকা পরিশোধ না করায় তাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আটকাদেশসহ নতুন করে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তারা নগরীর বায়েজিদের জালালাবাদ কুলগাঁও এলাকার সাদ মুসা ফেব্র্রিঙ লিমিটেডের নামে উত্তরা ব্যাংক লালদিঘি শাখা থেকে খেলাপি হওয়া ঋণ নিয়েছিলেন বলে জানান বেঞ্চ সহকারী।