সাত দিন পর যুবদল কর্মীর খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার

হত্যা করে লুকিয়ে রাখা হয় ছাগলের খামারে

মীরসরাই প্রতিনিধি | বুধবার , ১৪ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাইয়ে ছায়েদ আলম (৩৫) নামে এক যুবদল কর্মীকে খুন করে তার লাশ খণ্ডবিখণ্ড করে ছাগলের খামারে লুকিয়ে রাখে হত্যাকারীরা। সাত দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে তার লাশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকার প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্বে দুর্গাঘোনা নামক পাহাড়ের পাদদেশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ছায়েদ জোরারগঞ্জ থানার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাপাহাড় গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন কেরানীর ছেলে। মীরসরাইয়ে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মেজর আরেফিনের নেতৃত্বে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাতিজা নাজমুল হোসেন জানান, সরকার পতনের পর ছায়েদ মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত বিজয় মিছিল করেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে। রাতে মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার সময় নিখোঁজ হন তিনি। এরপর থেকে গত সাত দিন নিখোঁজ ছিলেন। আজ (গতকাল) বিকালে রেললাইনের পাশে একটি ছাগলের খামারে একটি লাশ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে শনাক্ত করি।

তিনি জানান, তার চাচা যুবদলের সক্রিয় কর্মী। তাকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিহত ছায়েদ আমাদের দলের লোক। সে যুবদলের সক্রিয় কর্মী। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, খুনের পর তার লাশ নৃশংসভাবে খণ্ডবিখণ্ড করে দিয়েছে।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪ দফা দাবিতে নগরে রোডমার্চ
পরবর্তী নিবন্ধনগরে আজ থেকে তিন দিন বিএনপির কর্মসূচি