সাতকানিয়ায় পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো, কৃষি জমির মাটি কাটা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ও অননুমোদিত ওষুধ বিক্রি করাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৩ জনকে ৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া শঙ্খনদীর চরতি এলাকায় অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত ৫০ লাখ ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি টাকা।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রতীক দত্ত ও সাতকানিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রমতে, সাতকানিয়ায় ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো, আবাদি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার ও শঙ্খনদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত আজ এ অভিযান চালান।
এসময় ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর অপরাধে ফোর বি এম ব্রিকফিল্ডের মালিককে ১ লাখ টাকা, সৈয়দ মক্কী ব্রিকসকে আড়াই লাখ টাকা, এইচ বিএম ব্রিকফিল্ডের মালিক মোঃ ইকবালকে আবাদি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় ব্যবহারের অপরাধে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া চরতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক শঙ্খনদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু অবৈধ ভাবে বিক্রি করায় সৈকত দাশ নামের একজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সাতকানিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী সাতকানিয়া পৌ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় মেয়াদোর্ত্তীণ, অননুমোদিত ও ফিজিশিয়ান্স স্যাম্পল বিক্রি করায় ফাহিম মেডিকেল হলকে ৫ হাজার টাকা, মুহাম্মদীয়া ফার্মেসিকে ৩০ হাজার টাকা, হাসান মেডিকেল হলকে ২০ হাজার টাকা, লোকসেবা ফার্মেসীকে ১০ হাজার টাকা, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিপনন করায় ফুড ফেয়ারকে ৩০ হাজার টাকা, এবং মূল্য তালিকা না থাকায় ৪টি মুদির দোকানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব প্রদানকারী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত জানান, কয়লার পরিবর্তে ইট পোড়ানোর অপরাধে ২টি ইটভাটা মালিককে সাড়ে ৩ লাখ টাকা, আবাদি জমির মাটি কাটার অপরাধে এক ইটভাটা মালিককে ২ লাখ টাকা এবং চরতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক শঙ্খনদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু অবৈধ ভাবে বিক্রি করায় ১ জনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও শঙ্খনদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত প্রায় ৫০ লাখ ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত এসব বালু নিলামে বিক্রি করা হবে।