সাতকানিয়ার ঢেমশায় মানববন্ধনে দুর্বৃত্তের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা ও পরিষদের জন্ম–মৃত্যু নিবন্ধকের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিবন্ধক কর্মকর্তা নিয়োগ করার প্রতিবাদে স্থানীয়দের উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
আহতরা হলেন একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চৌধুরী হাট এলাকার নুর হোসেনের পুত্র গুলিবিদ্ধ মো. সাকিব (১৮), ৪ নং ওয়ার্ডের দরবেশ পাড়ার মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র সাহেদ, ২ নং ওয়ার্ডের নুর আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিন ও আবদুল মাবুদের পুত্র শহীদুল ইসলাম।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, গুলি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগে সাতকানিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলায় ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরোয়ার রিমনকে আসামি করা হয়। এরপর গত ২৭ অগাস্ট ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম–মৃত্যু নিবন্ধক কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তারই প্রতিবাদে স্থানীয়রা মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে দুর্বৃত্তরা হামলা করে। ইউপি চেয়ারম্যানের মা রহিমা বেগম জানান, মানববন্ধন চলাকালে কতিপয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গুলি চালায় এবং বেপরোয়া মারধর শুরু করে। এতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী অনেক মহিলাও গুরুতর আহত হয়েছেন। ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরোয়ার রিমন বলেন, আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদীর কাছে আমাকে কেন আসামি করা হয়েছে জানতে চাইলে, তিনি আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানেন না বলে জানিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এলাকার নারী পুরুষ ও বৃদ্ধরা মানববন্ধনের আয়োজন করলে সেখানে হামলা চালানো হয়। মূলত প্যানেল চেয়ারম্যানকে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসানোর জন্যই এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সাতকানিয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মানববন্ধন শেষে হামলার বিষয়টি আমরা জানি না। এই ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।