সাতকানিয়ায় ক্ষেতে কাজ করার সময় কৃষকের রহস্যজনক মৃত্যু

সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি | সোমবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৩:২৭ অপরাহ্ণ

সাতকানিয়ার নলুয়ায় ক্ষেতে কাজ করার সময় আবদুল আজিজ নামের এক কৃষকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ স্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধারণা করলেও নিহতের স্বজনদের দাবি এটি হত্যা।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল আনুমানিক নয়টায় উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড, পশ্চিম নলুয়া, তালতল, ফেওরগারকুল বিল এলাকায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

মৃত কৃষক আবদুল আজিজ (৪৫) নলুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম নলুয়া হদরকুল মৌলভি আবদুল মজিদের পুত্র।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নলুয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী আহমদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, কচু ক্ষেতে কৃষক আবদুল আজিজকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

কৃষক আবদুল আজিজের ফুপাত ভাই মোহাম্মদ নাছির দৈনিক আজাদীকে বলেন, কৃষক আবদুল আজিজের সাথে নলুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবুল হাশেমের পুত্র সেচ স্কিম পরিচালনাকারী আবু তাহেরের (৫৫) সাথে বিরোধের জেরে গত বছর কৃষক আবদুল আজিজসহ কয়েকজনকে মামলার আসামি করেছিল তাহের।

এরই ধারাবাহিকতায় স্কিম পরিচালনাকারী আবু তাহের আমার ভাইকে হত্যা করেছে।

মৃত কৃষক আবদুল আজিজের চাচাতো ভাই আবদুল জলিল দৈনিক আজাদীকে বলেন, সকালে আমার ভাই কচু ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিল। হঠাৎ আমরা খবর পাই ক্ষেতে আবদুল আজিজ পড়ে আছে, তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ছুটে গিয়ে তাঁর গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পাই।

তাঁর পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কৃষক আবদুল আজিজকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হলে গলায় গামছা পেঁচানো কেন? এছাড়াও ধস্তাধস্তির কারণে কচু ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে কচু ক্ষেত নষ্ট হবে কেন?

এতেই নিশ্চিত ভাবে বলা যায় আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার আবু সাদাত বলেন, আবদুল আজিজ নামের এক ব্যাক্তিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাই। তাঁর পায়ে ছোট একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে এটি একটি স্ট্রোকজনিত স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা। তারপরও স্বজনদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর যথাযথ কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসৈকতে ৫৬৬ ডিম ছেড়ে সাগরে ফিরল মা কাছিম
পরবর্তী নিবন্ধ২৭ বছর আত্মগোপন থেকে শেষ রক্ষা হলো না অজয়ের