সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের রাস্তায় শতাধিক গর্ত

কর্ণফুলীর জুলধা-ডাঙ্গার চর সড়ক

শফিউল আজম,পটিয়া | শনিবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী উপজেলার জুলধাডাঙ্গার চর সড়ক। উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর থেকে ডাঙ্গারচর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এ সড়ক বেহাল দশায় পতিত হয়ে পড়েছে। এ সড়কের যেন কোন অভিভাবক নেই। সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়কজুড়েই শতাধিক গর্ত ও উঁচুনিচু ঢেউয়ে ভরা।

রাস্তার কথা জানতে চাইলেই মোহাম্মদ হোসেন নামের ষাটোর্ধ্ব স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এটা কোনো রাস্তা নয় যেন মুড়ির টিন। সড়কজুড়ে রয়েছে ছোট বড় সব গর্ত। গাড়ি ও মানুষ চলাচলের প্রায় অনুপযোগী। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার হাজারো মানুষ ১১নং ঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম শাহ্‌ আমানত বিমানবন্দরে যাতায়াত করেন। প্রায় চলাচল অনুপযোগী এ সড়কটি দিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয় ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার মানুষকে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত। কোথাও পিচ ঢালাইয়ের উপরের অংশ উঠে গিয়ে নীচের কংক্রিটের লাল অংশ বেরিয়ে ধুলোবালিতে একাকার হয়ে আছে। আবার কোথাও রাস্তার দু’পাশ ভেঙ্গে উপর নীচে হয়ে আছে। রাস্তা দিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন গাড়ি হেলে দুলে চলছে। এতে স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয়দের চলাফেরায় মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে এ সড়ক দিয়ে গাড়ি তো দূরে থাক স্থানীয়দের চলাফেরাও দুস্কর হয়ে পড়ে। ডাঙ্গার চর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম হৃদয় জানান, জুলধাডাঙ্গারচর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার অত্যন্ত নাজুক অবস্থা। এসব সড়ক দিয়ে কোনো সুস্থ মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। বিশেষ করে জনগুরুত্বপূর্ণ জুলধাডাঙ্গারচর সড়ক। এটি অনেকটাই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তার উপর এখানে গড়ে উঠা শিল্পকারখানার ভারী যানবাহন ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা গড়ে উঠায় কারখানার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কারবিহীন অবস্থায় পরে থাকার ফলে অনেকটা চলাচলা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরী জানান, রাস্তাটি সংস্কারে টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়েছে। আমার জানামতে যারা টেন্ডার পেয়েছিল তাদের কাগজপত্রে কোন একটা ঝামেলা থাকায় তাদের পাওয়া টেন্ডার বাতিল করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া অন্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে সংস্কারে এখনো কোন ওয়ার্ক অর্ডার হয়নি।

একই কথা জানালেন কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমির আহমেদ। তিনি বলেন, এলজিইডির মাধ্যমে সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়া হওয়ার কথা শুনেছি। তবে এখনো ওয়ার্ক অর্ডার হয়নি। সম্ভবত সহসায় সংস্কার কাজ শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটানা বন্ধে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের ঢল
পরবর্তী নিবন্ধকালো পলিথিনে ঢেকে টিলা কেটে পাকাঘর নির্মাণ