রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে আজ বুধবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ডাকলেও আধাবেলা পালন করেছে ইউপিডিএফ।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্র সড়কে (বাঘাইহাট-সাজেক সড়ক) যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থানীয় কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি এই সড়কে।
যদিও আজ সকাল ৯টায় গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা জানান, বিশেষ কারণবশত অবরোধ কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।
দুপুরে আরেক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ জানিয়েছে, অবরোধ সফল করতে সকাল থেকে ইউপিডিএফের নেতা-কর্মীরা সাজেকের বাঘাইহাট রেতকাবা চৌমুহনী, নন্দরাম, ১৩ কিলো, মাচলং এলাকায় পর্যটন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে পিকেটিং করেন।
অবরোধের কারণে সড়কে তেমন কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাহারায় পর্যটনগামী গাড়িতে করে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে।
অবরোধ কর্মসূচি পালন করায় ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা স্থানীয় জনসাধারণসহ যানবাহন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ কর্মী দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা। এ ঘটনার পর নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে সাজেক থানা পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সাজেক ইউনিয়নে বুধবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে ইউপিডিএফ।
গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে খাগড়াছড়িতে দুইটি পৃথক ঘটনায় ইউপিডিএফের ছয় নেতাকর্মী ও রাঙামাটির সাজেকে ৪ ফেব্রুয়ারির জোড়া খুনসহ দুই মাসে ইউপিডিএফের ৮ নেতাকর্মী খুন হলেন।