সাগরের বুকে ভাসতে থাকা এক বোতল যেন নিয়ে এল মৃত্যুর বার্তা। বিদেশি মদের লোভে জমেছিল আনন্দের আসর। কিন্তু মুহূর্তেই সেই আনন্দ পরিণত হল বিষাদে। মদ ভেবে বিষাক্ত কেমিক্যাল খেয়ে একজনের মৃত্যু ও ৮ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনায় হতবাক মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দারা।
গত শুক্রবার উপজেলায় বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ছোট কুলাল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মীর আহমেদ (৫০) ওই এলাকার মৃত হাছান আলির পুত্র।
নিহতের বড় ছেলে ছরওয়ার আজম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তার বাবা বাড়িতে পৌঁছার পর পেটের ব্যথা শুরু হলে তাকে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কঙবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করলে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সাগর পথে কঙবাজার নেওয়ার সময় বোটে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে একই বৈঠকে মদ (বিষাক্ত কেমিক্যাল) খাওয়া অন্যান্য ৮/৯ জন অসুস্থ হয়ে গোপনে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়। এদের মধ্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হাফিজ উল্লাহ প্রকাশ ভেট্টা (৩২), আবু সোলতানসহ (৩০) ৩ জন, চট্টগ্রামে শহিদুল্লাহ (৩৭) এবং মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নজরুল ইসলাম (৩২) চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। অন্যান্যরা প্রশাসনের ভয়ে গোপনে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অসুস্থ হাফিজ উল্লাহর ছোট ভাই করিম উল্লাহ বলেন, তার ভাই সহ ১০/১২ জন মিলে মুরগি জবাই করে পার্টি দিয়ে বিদেশি মদ ভেবে বিষাক্ত তরলগুলো খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আমান উল্লাহ বলেন, তারা ৩ দিন আগে এরকম কিছু খেয়েছে বলে শুনেছি। তবে তারা নিয়মিত মদ্যপায়ী ছিলেন না। সবাই নিরক্ষর ছিলেন। শখের বসে বিদেশি মদ মনে করে বিষাক্ত ক্যামিকেল পান করে।
নিহত মীর আহমদকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর কুলাল পাড়া কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের পরিবার।