পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম/উত্তর–পশ্চিম অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি শনিবার মাঝরাত নাগাদ উত্তর অন্ধ্র–দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের সই করা আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি সকাল ৬টায় মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর অন্ধ্র–দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম বা উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার মধ্যরাত নাগাদ উত্তর অন্ধ্র–দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
মৌসুমি নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে রাঙামাটিতে। এছাড়া সিলেটে ৩৮, বান্দরবানে ১৬, খুলনায় ১১ মিলিমিটারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।