সাফ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফুটবলে বাংলাদেশ–ভারত মানেই মাঠে তুমুল লড়াই। গতকালও তার ব্যতিক্রম হলো না। আর এই লড়াইয়ে জিতলো স্বাগতিক বাংলাদেশই। গতকাল রোববার কমলাপুর স্টেডিয়ামে ভারত অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে ১–০ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয় ফাইনাল। এর আগে প্রথম ম্যাচে নেপাল অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ ৩–১ গোলে। ভুটান অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে ম্যাচটি এখন কেবলই নিয়মরক্ষার স্বাগতিকদের জন্য।
গতকাল একের পর এক সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপ কেবল বাড়ছিল বাংলাদেশ দলে। তাই ড্রয়ের পথেই যেন এগোচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু ইনজুরি সময়ে এসে ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিলেন বাংলাদেশের সাগরিকা। আর তাতে করে সাফ অনূর্ধ্ব–১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পা রাখল বাংলাদেশের মেয়েরা। ভারত যেমন শুরু থেকেই আক্রমণে ছিল বাংলাদেশও তার পাল্টা জবাব দিতে ভুল করেনি। শুরু থেকেই পাল্লা দিয়ে লড়াই করে ম্যাচ জমিয়ে তুলে বাংলাদেশ। প্রথম সুযোগটা পায় স্বাগতিকরাই। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের ফ্রি কিক যদিও জাল খুঁজে পায়নি। ধারার বিপরীতে গিয়ে বাংলাদেশের রক্ষণে চিড় ধরায় ভারত। তবে গোলরক্ষক স্বপ্না রানীর কল্যাণে সে যাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে সমতার পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকরা। বিশেষ করে মুনকি দাস ভারতীয় গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। ৯০ মিনিট শেষে ইনজুরি সময় যোগ করা হলে ধরেই নেওয়া হয়েছিল এ ম্যাচ ড্র হবে। কিন্তু যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আফঈদার দূরপাল্লার ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক গোল করে বসেন সাগরিকা। একক প্রচেষ্টায় ভারতীয় গোলরক্ষককে বোকা বানান বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড। সেই গোলই বাংলাদেশকে এনে দেয় আনন্দের উপলক্ষ। দুই দিন আগে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচেও জোড়া গোল করেন এই সাগরিকা।
আগামীকাল মঙ্গলবার নিয়মরক্ষার ম্যাচে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একইদিন অলিখিত সেমিফাইনালে লড়বে ভারত–নেপাল। এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশের। এদিকে গতকালের অপর ম্যাচে ভুটানকে ১–০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখে নেপাল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ১০ গোল দেয় ভারত। তাই দুই দলের পয়েন্টই এখন সমান। তবে ম্যাচ ড্র হলে গোলগড়ে এগিয়ে থাকার কারণে আগামী বৃহস্পতিবার ফাইনাল খেলবে ভারত বাংলাদেশের বিপক্ষে।