সাগরপাড়ে অন্য শিশুদের সাথে খেলছিল ওয়াফি। এরই ফাঁকে সাগরে কাঁকড়া ধরতে নেমে হঠাৎ জোয়ারের স্রোতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। শিশু বন্ধুদের চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে অনেক খোঁজাখুজির পর খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা পর অবশেষে মৃত অবস্থায় শিশু ওয়াফির লাশ উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের জেটিঘাট সংলগ্ন পশ্চিম শরৎঘোনা এলাকার কুতুবদিয়া মগনামা চ্যানেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাখাওয়াত হোসেন ওয়াফি (৭) মগনামা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিমকূল এলাকার মো. রেজাউল করিমের ছেলে। নিহত শিশুর বোন সাইমা জান্নাত বলেন, ওয়াফি সকালে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। দুপুর ১২টার দিকে শ্বশুর বাড়ির অন্য ছেলেদের সাথে সাগরপাড়ে খেলতে যায়। এ সময় অন্য ছেলেদের সাথে কাঁকড়া ধরতে সাগরে নামলে ওয়াফি জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। এরপর থেকে তাকে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়।
পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব–অফিসার শফিউল আলম জানান, ওয়াফি ও তার বন্ধুরা মিলে স্থানীয় সাগরের চরে খেলতে যায়। একপর্যায়ে তারা আক্কাসের বাপের ঘোনা এলাকার বেড়িবাঁধের কাছে গেলে হঠাৎ প্রবল জোয়ারের স্রোতে ওয়াকি তলিয়ে যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা বন্ধু শিশুদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে অবহিত করেন। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে নামে। পরে চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরি দল এসে রাত সাড়ে ৭টার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।