রামু উপজেলার বৌদ্ধপল্লিতে হামলার ১২ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গুজবের জেরে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ভাঙচুর করা হয় শত বছরের মূর্তি ও মন্দির। আগুনের লেলিহান শিখায় চাপা পড়ে যায় রামুর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। পুড়ে যায় ১২টি বৌদ্ধবিহার, ২৬টি বসতঘর। ঘটনার ১২ বছর পরও সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার পর কক্সবাজারের চারটি উপজেলায় ১৯টি মামলা করে পুলিশ। যেখানে আসামি করা হয় ১ হাজার ২০ জনকে, যারা বর্তমানে সবাই জামিনে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলা করা হলেও তা পরে উঠিয়ে নেয়া হয়। পুলিশের করা ১৯ মামলা এখনও চলমান। অভিযোগপত্র দেয়া হলেও সাক্ষীদের অনীহার কারণে এখনও মামলাগুলো আলোর মুখ দেখছে না। গত বছর ৩টি মামলার অভিযোগপত্রে অসংগতি থাকায় পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। বাকিগুলো এখনও বিচারাধীন।
রামুর বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ (পরিচালক) ভদন্ত শীলপ্রিয় মহাথের জানান, ঘটনার ১২ বছর পরও বৌদ্ধরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। মামলার প্রক্রিয়াটি আরও যাচাই–বাছাই জরুরি। এতে যেসব নিরীহ লোক হয়রানির শিকার হচ্ছে, তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত দোষীদের আসামি করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্তমানে সাক্ষ্য দিতে না আসায় মামলাগুলো ঝুলে আছে। সাক্ষীরা না আসায় এখন কিছু করা যাচ্ছে না। মামলাগুলোও আলোর মুখ দেখছে না।