শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের উদ্বোধন করা হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিবের ফেরার ম্যাচে খুলনা হারিয়ে দিল তামিমদের বরিশালকে। খুলনা ৪ উইকেটে বরিশালকে পরাজিত করে। ম্যাচের শেষ ওভারে পাঁচ বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে জয় এনে দেন আরিফুল হক। ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুলনার ব্যাটিং খুব একটা ভাল ছিল না। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন আরিফুল। শেষ ওভারে তাদের বাকি থাকে ২২ রান। মেহেদি হাসান মিরাজের করা সেই ওভারের পাঁচ বলেই চার ছক্কার মারে ২৪ রান তুলে নেন আরিফুল।
তিনি খেলেছেন ৩৪ বলে ৪৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। প্রথম ২০ বলে ১১ থেকে শেষের ১৪ বলে আরও ৩৭ রান করেছেন ডানহাতি এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। তার বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়েই বরিশালকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করল তারকাখচিত জেমকন খুলনা। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের আগুন বোলিংয়ের সামনে পড়ে খুলনা। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৩ বলে ৪ ও ইমরুল কায়েস ২ বলে ০ রানে ফিরে যান প্রথম ওভারেই। এরপর আউট হন দলের দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৭ ও সাকিব আল হাসান ১৫ রানে। ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদ দেখে খুলনা। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন আরিফুল হক ও জহুরুল ইসলাম। দলীয় ৭৮ রানের মাথায় ২৬ বলে ৩১ রান করে ফেরেন জহুরুল। পরে সাহসী ব্যাটিং করেন শামীম হোসেন। হাত খুলে খেলে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ১৮ বলে করেন ২৬ রান।
তা যথেষ্ঠ ছিল না খুলনার জয়ের জন্য। দুই ওভারে জয়ের জন্য বাকি ছিল ২৯ রান। তাসকিনের করা ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে শহীদুল ইসলামকে স্ট্রাইক দেন আরিফুল। চার বল ডট খেলে শেষ বলে ছক্কা মারেন শহীদুল। ফলে শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ২২ রান। হাতে আর কোন বোলার না থাকায় মেহেদি মিরাজকে বোলিংয়ে ডাকেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আর তাতেই সর্বনাশ ঘটে। মিরাজের প্রথম বলে লং অফ, দ্বিতীয় বলে স্ট্রেইট ছক্কা মেরে সমীকরণ ৪ বলে ১০ রানে নামিয়ে আনেন আরিফুল। তৃতীয় বলে এক রান হওয়ার সুযোগ থাকলেও সেটি নেননি তিনি। তার মাথায় ছিল ছক্কার মেরে ম্যাচ শেষ করার পরিকল্পনা। ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বীরত্বের সাথেই তা করেন আরিফুল। খুলনা পৌঁছে যায় ৬ উইকেটে ১৫৫ রানে। আরিফুল ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। বরিশালের পক্ষে তাসকিন এবং সুমন ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশাল প্রথম বলেই উইকেট হারায়। তামিমও পারেননি ১৫ রানের বেশি করতে। তবে তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। বলতে গেলে সে একাই লড়াই করেছে খুলনার বোলারদের বিপক্ষে। মূলত তারই হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে বরিশাল সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৫২ রান। ইমন ৪২ বলে ৩টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫১ রান করে। এছাড়া শেষ দিকে তৌহিদ হৃদয় ২৭, ইরফান শুক্কুর ১১, মাহিদুল ১০ বলে ২১ এবং তাসকিন ৫ বলে করেন ১২ রান। খুলনার পক্ষে ১৭ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছেন শহীদুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শফিউল এবং হাসান মাহমুদ।