ব্যাটিং নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট শেষেই সমালোচনা করেছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সেই সমালোচনায় কোনও কাজ হয়নি; দৃশ্যপট বদলায়নি। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসেও একই চিত্র। ব্যাটাররা ভালো শুরু করেও বাজে শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। প্রথম দিন শেষে ব্যাটারদের সমালোচনা করলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। বিশেষ করে অধিনায়কের দায়িত্বহীন ব্যাটিংকেই ‘মেন্টাল এরর’ হিসেবে দেখছেন। ৪ বলের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
প্রাথমিক সেই বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন লম্বা সময় ধরে ফর্মহীন মোমিনুল হক। অনেক দিন পর চার নম্বরে নামা সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যান তিনি। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরে এসে প্রথম বলেই দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেন অধিনায়ক সাকিব। উমেশ যাদবের লেংন্থ বল মিডউইকেটের ওপর দিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন। বল চলে যায় সোজা পূজারার হাতে। লাঞ্চের পরের বলে এসেই এভাবে উইকেট বিলিয়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না সিডন্স।
সাকিবের আউট নিয়ে প্রশ্ন ওঠতেই সিডন্সের উত্তর, ‘সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে এসব মেন্টাল এরর ভীষণ হতাশার। স্পিনার বা পেসারদের লেংন্থ পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে গিয়ে খেলতে চেয়েছিল সে। লাঞ্চ বিরতির প্রথম বলে বোলারদের অতোটা ধারালো থাকার কথা নয়। সে যদি ক্রিজে থাকতো অবশ্যই বাজে বল পেতো। যেটা করেছে সেটা তার সিদ্ধান্ত। খেলোয়াড়দের এমন ভুল দেখা সত্যিই বিরক্তিকর।’ শুধু সাকিবের ব্যাটিংই নয়, দলের সবার ব্যাটিং নিয়েই বিরক্ত সিডন্স।
সংবাদ সম্মেলনে এসেই ক্ষোভ ওগরে দিলেন এই ব্যাটিং কোচ, ‘আমি এখানে ৬-৭ মাস ধরে কাজ করছি। আমরা এগুলো নিয়ে কথা বলেছি। আমরা পর্যাপ্ত অনুশীলনও করছি। কিন্তু ব্যাটাররা যখন ক্রিজে যাচ্ছে, তারা কেবল তাদের মতো করেই কাজ করতে পারে। সাকিব ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, লিটন জোরে শট খেলার চেষ্টা করছে। মেহেদী আগ্রাসী শট খেলার চেষ্টা করছে। তারা আউট হয়ে ফেরার সময় চিন্তা করছে, ‘এ আমি কী করলাম।’
কিন্তু তাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাদেরকে ছয় ঘণ্টা লাগাতার ব্যাটিং করতে হবে।’ ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসেবে সিডন্স মনে করেন ব্যাটারদের টেকনিক্যাল ও মেন্টাল এরর রয়েছে, ‘আমি তাদের টেকনিক্যাল ও মেন্টাল ইস্যু নিয়ে কাজ করছি। একজন বা দু’জন বাদে তারা কেউই টেকনিক্যাল নয়। তারা তেড়েফুঁড়ে এগিয়ে গিয়ে বল বাউন্ডারিতে মারতে ব্যস্ত। আমার পক্ষে তাদের এই মানসিকতা পরিবর্তন করা কঠিন।’