বিপিএলের এবারের আসরের একেবারে শেষ দিকে। আসরের ফাইনালে খেলার পথেই থাকল রংপুর রাইডার্স। এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্স পরাজিত করে সাকিবের বরিশালকে। দারুণ রোমাঞ্চকর ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতে নেয় রংপুর ৪ উইকেটে। ফলে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল রংপুর। অপরদিকে এই পরাজয়ে বিপিএলের এবারের আসর থেকে বিদায় নিল সাকিবের বরিশাল। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলেও নক আউট পর্বে এসে নক আউট হয়ে গেল সাকিবের বরিশাল। গতকাল দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ মাচটিতে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেনি সাকিবের দল। ফলে হতাশা নিয়ে বিদায় নিতে হলো সাকিব–মিরাজ–মাহমুদউল্লাহদের। আর রংপুর রাইডার্স ফাইনাল খেলার পথে আরো একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
টসে জিতে সাকিব আল হাসানের বরিশালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রংপুর অধিনায়ক। দুই ওপেনার মিরাজ ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় বরিশাল। দুজন উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৬ রান। রাকিবুল হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফ্লেচার ফিরেন ১৬ বলে ১২ রান করে। তিনে নেমে মিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে আসে ৬৯ রান। দলকে ১১৫ রানে রেখে ২১ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রান করে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর রানের চাকা কিছুটা ধীরগতির হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ১২৬ রানের মাথায় ফিরেন মিরাজ। তিনি করেন ৪৮ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৯ রান । বরিশাল যে শেষ পর্যন্ত ১৭০ রান করতে পেরেছে সেটা আফগান তারকা করিম জানাতের কল্যানে। ২৫ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া লঙ্কান অলরাউন্ডার ভানুকা রাজাপক্ষে ১০ বলে করেন ১৭ রান। বল হাতে রংপুরের পক্ষে শানাকা নেন ২ উইকেট। ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কাই খায় রংপুর রাইডার্স। পাঁচ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরেন নাঈম শেখ। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শামীম পাটোয়ারী ও রনি তালুকদার। ঝড় তুলতে থাকেন দুজন ব্যাট হাতে। দুজনের ৬১ রানের জুটি ভাঙে কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৭ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৯ রান করে ফিরেন রনি তালুকদার। অধিনায়ক সোহানও পারেননি শামিমকে বেশিক্ষন সঙ্গ দিতে। ১৩ বলে ১৮ রান করে ফিরেন রংপুর অধিনায়ক। ক্যারিবীয়ান ব্যাটার নিকোলাস পুরান এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে আলো ছড়াতে পারেননি। ৮ বলে ৫ রান করে ফিরেন সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তবে অপরপ্রান্তে ঝড় তুলছিলেন তরুন শামিম। তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। যা এবারের আসরে তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। দলকে ১৪০ রানে পৌছে দিয়ে ফিরেন শামিম। ৫১ বলে ৪টি চার এবং ৪টি ছক্কায় ৭১ রান করেন শামিম। শেষ তিন ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৯ রান। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ছক্কা মেরে ব্যবধান কমিয়ে আনেন দাসুন শানাকা। সেই ওভার থেকে ১০ রান এলেও রংপুর হারায় ডোয়াইন ব্রাভোর উইকেট। শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। প্রথম বলে এক রান নেন শানাকা। পরের দুই বলে দুটি চার মেরে দলকে জিতিয়ে উৎসবে মাতেন মেহেদী হাসান। শানাকা ১২ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর মেহেদী হাসান অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৮ রান করে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রংপুর রাইডার্সের শামিম পাটোয়ারী।