তাইজুল ইসলামের গায়ে টেস্ট ক্রিকেটের লেবেলটা লেগে গেছে অনেক আগেই। তবে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার নিজের তকমাটাকে দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তাইজুলকে চাই চাই। আর তাইজুলও সে আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। গতকাল মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে তাইজুলের বেশ কিছু ঝলক দেখল দক্ষিন আফ্রিকার ব্যাটাররা। তার দুর্দান্ত টার্ন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ম্যাথু ব্রিটজে হয়তো আশাই করেননি বল এতটা ঢুকে যাবে। যতক্ষণে বুঝেছেন, ততক্ষণে উপড়ে গেছে অফস্টাম্প। শূন্য রানেই টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হলো প্রোটিয়া এই ব্যাটারের। এরই সঙ্গে তাইজুলও নাম লেখালেন দারুণ এক রেকর্ডে। ব্রিটজকে আউট করে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মালিক হলেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিয়ারের ৪৮তম টেস্টে এসে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন বাঁহাতি টাইগার স্পিনার। তাইজুলের আগে বাংলাদেশের কেবল একজনই ২০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকেছেন। তিনি হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। অর্থাৎ দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ২০০ উইকেটের মালিক হলেন তাইজুল ইসলাম। তবে একটা জায়গায় সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন তাইজুল। টেস্টে ২০০ উইকেট পেয়েছেন তিনি ৪৮তম টেস্টে। সাকিবের ২০০ উইকেট নিতে লেগেছিল ৫৪ টেস্ট। গতকাল মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে দক্ষিন আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। যা তার ক্যারিয়ারের ১৩ তম ৫ উইকেট। তাইজুলের সেরা বোলিং এই মিরপুরেই। সেটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। অবশ্য সেটা স্পর্শ করার বা ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাইজুলের। সে জন্য তাকে অন্তত আরো তিনটি উইকেট নিতে হবে।
তবে যেভাবে টার্ন পাচ্ছেন তাইজুল উইকেট থেকে তাতে সেরা বোলিংটা হয়েও যেতে পারে এই স্পিনারের। এমনিতেই টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম ভলসার নাম এই তাইজুল। যখনই বল হাতে নিয়েছেন তখনই প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছেন তার ঘূর্ণিতে। এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই টেস্টে নিজেকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাইজুলের। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকাকে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে। তখন পিচ থেকে আরো বেশি সহায়তা পাবেন তাইজুল। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা ৫ উইকেট শিকারি হলেন ঃ সাকিব আল হাসান ২৪৬ উইকেট, তাইজুল ইসলাম ২০১ উইকেট, মেহেদী হাসান মিরাজ ১৮৩ উইকেট, মোহাম্মদ রফিক ১০০ উইকেট এবং মাশরাফি বিন মর্তুজা ৭৮ উইকেট।