সাঁতারের শিডিউলে পরিবর্তন আনল সিজেকেএস নতুন সূচিতে ত্রুটি দেখছে সংশ্লিষ্টরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৬ মে, ২০২৫ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

গত কয়দিন ধরে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সুইমিং পুলে একরকম নৈরাজ্যের মত চলছিল। দিনের একটি সেশনকে ঘিরে ছেলে আর মেয়ে একাকার হয়ে গিয়েছিল। যা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। গতকাল দৈনিক আজাদীতে এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আলোচনায় বসে সিজেকেএস এডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আবদুল বারী।

সভায় নতুন করে আরেকটি সূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। যেখানে শনি, রবি এবং সোমবার সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত মেয়েদের সেশন চলবে। একটা থেকে ২টা পর্যন্ত বিরতি। ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে ছেলেদের সেশন। মঙ্গলবার সপ্তাহিক ছুটি। বুধ, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এই তিনদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে ছেলেদের সেশন। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে মেয়েদের সেশন। ফলে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে শিডিউল বিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকবেনা বলে মনে করছেন সিজেকেএস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সাঁতার সংশ্লিষ্টরা এই শিড়িউলে পরিবর্তন আনার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

কারণ ঘোষিত শিড়িউলে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে সমান সেশন। কিন্তু প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে মেয়েদের চাইতে ছেলেদের সংখ্যা তিন গুণেরও বেশি। তাই ছেলেদের সেশন বাড়িয়ে মেয়েদের সেশন আরো কমানো যুক্তিসংগত হবে বলে মনে করছেন তারা। এদিকে আজ থেকে সুইমিংপুলের পরিচ্ছন্নতা এবং পানি পরিবর্তনের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে আগামী ১৩ মে জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়ার সাঁতার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এই পুলে। এছাড়া আগামী ২১ থেকে ২৪ মে চলবে জাতীয় বয়স বিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা। যেখানে দেশের সবকটি জেলার ক্ষুদে সাঁতারুরা অংশ গ্রহণ করবে।

এদিকে গতকাল সুইমিংপুলে গিয়ে দেখা গেছে পুলের দক্ষিন পাশে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের উপর নির্মিত একটি ভবনের সিড়ির বেলকনি থেকে বখাটে ছেলেরা মেয়েদের সাঁতারের ছবি তোলে। তেমন অভিযোগ করেছে অনেক অভিভাবক। সুইমিংপুলের স্টাফ এবং অভিভাবকরা একাধিকবার বিষয়টি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের নজরে আনলেও তার কোন সুরাহা হয়নি। ফলে বিব্রবতকর অবস্থায় পড়তে হয় মেয়েদের সাঁতারের সময়। তাদের দাবি নতুন সেশন শুরুর আগে যেন এই বেলকনি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ছয়মাসেরও বেশি সময় পর সুইমিংপুলের পানি পরিবর্তণ করা হচ্ছে। যদিও এই পুলের পানি পরিবর্তনের কোন প্রয়োজন নেই। যেহেতু এটি ম্যাচ পুল। এই পুলে পানি থাকবে কানায় কানায় পূর্ন। আর পুলটির পানি অটো রিসাইক্লিং হয়ে পুনরায় পুলে আসার কথা। এখন যেহেতু পুলটি বানিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার হচ্ছে সেহেতু পানি থাকছে তিন ফুটের মত।

ফলে পানি রিসাইকেলের কোন সুযোগ নেই। ফলে পানি পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আর সে পানি পরিবর্তনটা অন্তত একমাস পরপর করা উচিত বলেও মনে করছেন সাঁতার সংশ্লিষ্টরা। অন্যতায় বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঝুকি থাকে। তাই জেলা ক্রীড়া সংস্থা সেদিকে নজর দেবে তেমনটি আশা করছে ন সাঁতারু এবং অভিভাবকরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদ-শরিফুলের বোলিংয়ে জয়ে সিরিজ শুরু স্বাগতিকদের
পরবর্তী নিবন্ধনজরুল পুরস্কার পাচ্ছেন ৪ শিল্পী, গবেষক