সহ্যসীমা অতিক্রম করলে কাউকে ক্ষমা করা হবে না : সুজন

নগরসেবায় ক্যারাভান কর্মসূচির ৫ম দিন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

নগরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোডের সাব এরিয়া এলাকায় রাস্তার ওপর অবৈধ কাঁচা বাজার দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কাছ থেকে বাজারটি না বসানোর অঙ্গীকার আদায় করেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে বাজার বসালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এছাড়া একই সড়কে জয়নব কলোনির সামনে ফুটপাত দখল করে বসানো দুটি অবৈধ দোকানের মালিককে এক সপ্তাহের সময় দেন প্রশাসক। নির্ধারিত সময়ে অবকাঠামো নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এভাবেই ‘নগরসেবায় ক্যারাভান’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান করছেন চসিক প্রশাসক। গতকাল বুধবার ছিল কর্মসূচির পঞ্চম দিন। এদিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড, চকবাজার, জামালখান ও চেরাগী পাহাড় হয়ে পুনরায় আন্দরকিল্লা পর্যন্ত এসে শেষ হয় কর্মসূচি। এ সময় তিনি স্কুটি চালিয়ে প্রত্যক্ষ করেন বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট কর্মসূচির প্রথম দিন বহদ্দারহাট মোড় আরাকান সড়ক হয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত, ২ সেপ্টেম্বর ফিরিঙ্গিবাজার থেকে নজরুল ইসলাম সড়ক, সদরঘাট রোড, স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে মাঝিরঘাট হয়ে রশিদ বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত, ৯ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালী মোড় থেকে আশরাফ আলী রোড হয়ে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত এবং ১৬ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর মার্কেট-বেপারীপাড়া হতে শুরু করে বড়পোল- নিমতলা পর্যন্ত্ত দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার পথ পরিদর্শন করেন প্রশাসক। এদিকে গতকাল কর্মসূচি চলাকালে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ধারাবাহিক ক্যারাভান কর্মসূচির ফলে জনগণ ফুটপাতে হাটার অধিকার ফিরে পেয়েছে। জন ও যান চলাচলে যেখানে প্রতিবন্ধকতা আছে, তা প্রতিহত করাই নগরবাসীর প্রতি আমার দায়বদ্ধতা। প্রথমত আমার অনুরোধ, তার পরে নির্দেশ, তা যদি কেউ অমান্য করে বা নিজের বাহুত্ব প্রকাশ করে, তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমি চাই বাসযোগ্য চট্টগ্রাম নগরী গড়ে উঠুক। আমি যা শুরু করেছি বা করছি তা আগামীতে এই দায়িত্বে যারা আসবেন তাদের পথ অনেকখানি সুগম করবে। আমি লক্ষ্য করছি, নির্দেশনা দেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করা হলেও চোখের আড়াল হওয়ার পরপরই তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এটা শুধু দুঃখজনক নয়, তা আমাকে ক্ষুব্ধ করে। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে কাউকে ক্ষমা করা হবে না।
চকবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে এটি স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী যে মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন সেবা সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের দীর্ঘদিনের অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতে এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোথাও কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে আগামীতে এর সুফল আপনারাই ভোগ করবেন। তিনি চকবাজার মোড় এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও ইট-বালির ব্যবসা না করার জন্য নির্দেশনা দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরীক্ষা বেশি হলে মৃত্যুহার কম হতো ধারণা তথ্যমন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী নদীর অস্তিত্ব রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে