সহিংসতা পরিহার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের আহবান ক্যাবের

| বুধবার , ৭ আগস্ট, ২০২৪ at ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সামপ্রতিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ক্রান্তিলগ্নে সহিংষতা পরিহার ও শান্তিপূর্নসহবাস্থান নিশ্চিতের আহবান জানিয়েছেন দেশের ক্রেতাভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে একথা বলা হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।

বিবৃতিতে নেতৃবন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ এর সাথে লক্ষ্য করছি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হামলা, লুটাপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালগু সমপ্রদায় ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হামলা, বিভিন্ন কলকারখানা, অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, বাসাবাড়িতে হামলা, মন্দির, উপাশনালয়ে ভাঙ্গচুর করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নেতৃবন্দ বলেন, ইতিমধ্যেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সেনা প্রধান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কগনসহ অনেক রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজ এর প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই শান্তিপূর্নসহবাস্থান নিশ্চিত, শান্তি শৃংখলা রক্ষা ও সহিংসতা পরিহারের আহবান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন অর্ন্তবর্তী সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পেশাদার আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীকে সমস্ত অরাজকতা ও দুষ্কৃতকারীদের নৈরাজ্য ও লুটপাট থেকে শান্তিপ্রিয় জনগণের জানমাল রক্ষা করার জন্য আহবান জানাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে এই ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম ও খাদ্য মূল্যস্ফীতির আরও আরও বাড়বে। এবং সার্বিক অর্থনীতি আরও ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে যা এদেশের জনগণের জন্য কখনও কাম্য নয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এভাবে নৈরাজ্য, অরাজকতা ও বিশৃংখলা চলতে থাকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত ১৬ বছরের যে একানায়কতন্ত্রের অবসান হয়েছে। এবং এ সুযোগে তৃতীয় কোনো শক্তি উত্থানের মাধ্যমে ছাত্র জনতার এই রক্ষক্ষয়ী অর্জন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে। আমরা এটা কখনো হতে দিতে পারি না। বিবৃতিতে বলা হয়, এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি। একই সাথে এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার জন্য সকলকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাজ্যের কয়েকটি শহরে ফের দাঙ্গা, গ্রেপ্তার চার শতাধিক
পরবর্তী নিবন্ধছাত্রজনতার রক্তার্জিত এ বিজয়কে অক্ষুন্ন রাখতে হবে