বাঁশখালী সমুদ্র উপকূলীয় সরলে জেগে উঠা চর যেন অলিখিত এক অর্থের খনি। যেটা দখলে নিতে মরিয়া একের পর এক গ্রুপ। যাদের হাতে রয়েছে অনেক অবৈধ অস্ত্র। সেই সব অস্ত্র নিয়ে চলে মহড়া। গতকাল বিকালে মনসুর ও আবুল হোসেন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময়ও প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেখা যায়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবার টনক নড়ে। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় জনগণ। এর আগে গত ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর একইভাবে সরলে মনসুর ও আবুল হোসেন দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১০/১২ জন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছিল। সেটা নিয়ে মামলা এবং বেশ কয়েকবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য বসা হলেও কোন সুরাহা হয়নি। এছাড়াও চর দখলের ঘটনায় গ্রুপ উপগ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।
সরল উপকূলে জেগে উঠা সরকারিভাবে পরিত্যক্ত ও মালিকানাধীন কয়েক হাজার একর জমির চিংড়ি ঘের দখল, লবণ মাঠ দখল, বন বিভাগের বিস্তীর্ণ এলাকার প্যারাবনে গাছ কর্তনের ঘটনা প্রায় হয়। তবে উপকূলীয় বনবিভাগ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনে। সে কারণে জেগে উঠা চর দখল বেদখলের ঘটনায় একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়রা জানান। বিগত দিনে উপকূলীয় এলাকায় চর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রুপ উপগ্রুপের কোন্দলে আলোচিত জাফর আহমদ, তার ভাই খলিল আহমদ, শেয়ার আলী, জমির, মো. হামিদসহ ৮/১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সরল এলাকার বাসিন্দা আমান উল্লাহ বলেন, চর দখল করে অবৈধ টাকার মালিক হওয়া কতিপয় লোকের জন্য সরলের সাধারণ জনগণ শান্তি ঘুমাতে পারছে না। প্রতিনিয়ত অস্ত্রের ব্যবহার ও মহড়া দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি। সরল এলাকার ব্যবসায়ী আহমদ কবির বলেন, বিগত কয়েকবছর যাবত সরল উপকূলে জেগে উঠা চর দখলে অনেক ঘটনা হলেও তা কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। প্রশাসন কেন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে না জানি না। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বাঁশখালীর উপকূলীয় সরলে চর দখলে সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।