নগরীর নন্দনকানন জেসি গুহ রোডে সরকারি পরিত্যক্ত একটি ভবনের নিচতলার ইলেকট্রিক সামগ্রী ও গ্যাসের দোকান এবং মালামালের ২টি গুদামসহ ৯টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে গণপূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার সকালে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন মহানগরীর সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিম। গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ, পাঁচলাইশের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী সৌমিক তালুকদার, উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী পুষণ চক্রবর্তী, সহকারী প্রকৌশলীগণ ও মেট্টোপলিটন পুলিশ অভিযানে সহযোগিতা করেন। অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে তাদের দোকানের মালামাল সরিয়ে নেন। অভিযানে যেসব দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে সেগুলো হলো আলো নিকেতন, উদয়ন কর্পোরেশন, দি ইউনিভার্সেল ইলেকট্রিক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, বিনিময় গ্যাস, যমুনা ইলেকট্রিক ও মহিউদ্দিন ইলেকট্রিক।
গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নন্দনকাননস্থ সরকারি পরিত্যক্ত বাড়ি মতিন বিল্ডিংয়ের নিচতলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ২য় ও ৩য় তলায় সরকারি কর্মচারীদের বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘর ছিল। পুরো বিল্ডিংটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় এটি ভেঙে ফেলে নতুনভাবে আবাসন গড়ার জন্য সরকার কয়েক বছর পূর্বে প্রকল্প গ্রহণ করে। সে সময় তিনতলা বিশিষ্ট মতিন বিল্ডিংয়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা নোটিশ পেয়ে অন্যান্য সরকারি বাসায় চলে গেলেও নিচতলায় উপ–ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থানরত ইলেকট্রিক সামগ্রী ও গ্যাসের দোকানদাররা তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখে। এরপরও দোকান ঘরগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে নোটিশের মাধ্যমে কয়েকবার তাগাদা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা দোকানগুলো বুঝিয়ে না দিয়ে সরকারকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন। বেশ কয়েক বছর মামলা চলমান থাকার পর আদালত থেকে সরকার পক্ষে মামলার রায় হওয়ায় উপ–ভাড়াটিয়াগণ আবারও আপিল করেন। আপিলেও সরকার পক্ষে রায় বহাল রাখে আদালত। যার ফলে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে এই ৯টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে গণপূর্ত বিভাগের কাছে ভবন হস্তান্তর করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
মহানগরীর সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, তিনতলা বিশিষ্ট সরকারি পরিত্যক্ত মতিন বিল্ডিং ব্যবহরের অনুপযোগী হয়ে উঠলে আমরা এ বিন্ডিংয়ের ২য় ও ৩য় তলায় বসবাসের জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের সরিয়ে নিলেও নিচতলার দোকানগুলো সরকারের বিপক্ষে আদালতে মামলা করে দেয়। আদালতের রায়ের পর আজ (গতকাল) মতিন বিল্ডিংয়ের নিচতলার দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।