সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা যেন আরও বেশি উন্মুক্ত হয়, আরও বেশি অবাধ হয়– সেটি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছু কোম্পানির সামর্থ্য নেই, কিন্তু তারাও কাজ পেয়ে যাচ্ছে। এতে কাজের বিলম্ব হচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট বিধি–বিধানের পরিবর্তন আনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান। খবর বাসসের। মাহবুব হোসেন জানান, সভায় ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩’র খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত এই সংশোধনী আইনানুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষ অথবা একই পরিবারের সদস্যরা কোম্পানির ১৫ ভাগের বেশি শেয়ার কিনতে পারবেন না। তিনি জানান, বর্তমানে যাদের শেয়ার ১৫ শতাংশের বেশি আছে, সে বিষয়েও প্রস্তাবিত আইনে করণীয় ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এই আইন কার্যকরের দুই বছরের মধ্যে অতিরিক্ত শেয়ার পরিবারের সদস্য নয় এবং ওই কোম্পানিতে শেয়ারের সর্বোচ্চ সীমা ধারণ করেন না, এমন ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করবেন। যদি না করা হয়, তাহলে ওই শেয়ার সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। তিনি জানান, পরিবারের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। পরিবার বলতে স্ত্রী বা স্বামী, পিতা–মাতা, পুত্র–কন্যা, ভাইবোন এবং ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল সবাইকে বোঝাবে। প্রস্তাবিত আইনে দু’জন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ ১৫ জন পরিচালক থাকা যাবে। প্রস্তাবিত আইনে বিভিন্ন অপরাধের সাজাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি আইন, ২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে নাটোরে। এতে কৃষিবিষয়ক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি (২০২৩) খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় বৈঠকে।