অবৈধ সম্পদের মামলায় জামিনে থাকা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি স্থগিতে দুদক যে আবেদন করেছিল, তার শুনানি হওয়ার আগেই তিনি দেশত্যাগ করায় সেই আবেদন অকার্যকর হয়ে গেছে। গত শনিবার সম্রাট দেশ ছেড়েছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরী। গতকাল রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চে শুনানির সময় আইনজীবী মনসুরুল এ কথা জানান।
তার আরেক আইনজীবী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম রিপন জানান, আগে নেওয়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী সম্রাট ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন। গ্রেপ্তারের পর কারাবন্দি অবস্থায় হৃদরোগের কারণে অনেক দিন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জামিনে কারাগার থেকে মুক্তির পরও কিছুদিন তিনি ওই হাসপাতালে ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল আলম গত ১ জুন সম্রাটের পাসপোর্ট দুই মাসের জন্য তার জিম্মায় দেওয়ার এবং সেই সঙ্গে চিকিৎসার জন্য তাকে এক মাসের জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। ওই অনুমতি স্থগিত চেয়ে দুদক গত ১৩ জুলাই হাই কোর্টে আবেদন করে। রোববার ওই আবেদনের বিষয়ে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সম্রাটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল ও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম রিপন। রিপন বলেন, চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ভারতে চলে গেছেন। বিচারিক আদালতের আদেশ মেনেই তিনি দেশের বাইরে গেছেন। তিনি বিদেশ থেকে ফিরে এলে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি আগামী ১ অগাস্ট পর্যন্ত মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) রাখা হয়েছে। তবে দুদকের আবেদনের শুনানির আগে বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ মতো সম্রাট বিদেশে চলে যাওয়ায় আবেদনটি এখন অকার্যকর (ইনফ্রাকচুয়াস)। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সম্রাট আত্মগোপন করেন। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।