সম্ভাব্য প্রার্থী কে, আলোচনায় যারা

মীর আসলাম, রাউজান | শুক্রবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় নির্বাচনের আমেজ না কাটতেই দরজায় কড়া নাড়ছে উপজেলা নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুসারে উপজেলা নির্বাচন হবে মার্চ মাসের দিকে। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক পর্যায় থেকে এবার ঘোষণা দেয়া হয়েছে এই নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে না। এতে ভোটাররা ধারণা করছেন এবার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন। প্রার্থীরা নিজ নিজ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বিঘ্নে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে যাদের নাম আলোচনায় আসছে, তারা কেউ এখনো এই নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। তারা সিদ্ধান্ত পেতে চান এলাকার সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর কাছ থেকে।

উপজেলার বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা যায়, হাটবাজারের চা দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির বৈঠকখানা পর্যন্ত চলছে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা। সাধারণ মানুষের কৌতুহলকারা হচ্ছেন এবার চেয়ারম্যানভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী। সচেতন মহলের আলোচনায় চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ চলছে উপজেলা পরিষদের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত যারা দায়িত্ব পালন করেছেন অথবা করছেন সেসব সাবেকবর্তমান চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের পারফরমেন্সের। আলোচনায় আসছে এসময়ে আলোচিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের যোগ্যতাঅযোগ্যতার বিষয়ও।

রাউজানের উপজেলা নির্বাচনের ইতিহাসের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, এই উপজেলার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন দক্ষিণ রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পটিয়াপাড়ার বাসিন্দা এম আবদুল্লাহ। তারপর এই পদে আসেন পৌরসদরের হাজী পাড়ার বাসিন্দা অধ্যাপক লোকমান হাকিম। এখন তারা দুজনই প্রয়াত। এরপর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে টানা তিন মেয়াদ পার করতে চলেছেন উপজেলার ১ নম্বর হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াছিন নগর গ্রামের বাসিন্দা এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

মাঠ পর্যায়ে ঘুরে ও মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল। স্থানকালপাত্র বিবেচনা করে অনেকেই মনে করছেন, তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন এবং সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে তার রয়েছে সুসম্পর্ক। তাছাড়া সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মানবিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। এই পেক্ষাপটে চেয়ারম্যান পদে তার বিকল্প কাউকে চিন্তা করবে না ভোটাররা।

চেয়ারম্যান পদে নতুনদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে আছেন বিনাজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইয়াছিন চৌধুরী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজান ইকবাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের একই পদধারী শ্যামল কুমার পালিত ও ইরফান আহমদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে আছেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামীমা আকতার। তিনি পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন আরিফের স্ত্রী। পুরুষদের মধ্যে রয়েছেন বিনাজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুকুমার বড়ুয়া এবং উপজেলা জন্মষ্টামী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক তপন দে।

নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে আলোচিত প্রার্থীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রায় সকলেই বলেন, রাউজানের মানুষ আমাদের চিনেন। সেই সূত্রে তারা আলোচনা করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে তারা এখনই নিজেদের প্রার্থীতা নিয়ে মুখ খুলতে চান না। সকলের বক্তব্যরাউজানের মানুষের সুখদুঃখের সাথী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, তিনি সকলের অভিভাবক। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত মেনেই তারা কাজ করতে চান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউল্টোপথের বাস উড়িয়ে নিয়ে গেল টেক্সি ও রিকশা
পরবর্তী নিবন্ধলাল পাহাড়ে আরসার আস্তানা