সম্পর্ক শব্দটি মধুর আর পবিত্র একটি শব্দ। যা একে অপরকে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে। সম্পর্ক জীবনের সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক জিনিসগুলোর মধ্যে একটি। সে সম্পর্ক হতে পারে বন্ধুত্বের বা স্বামী স্ত্রীর, কিংবা অন্যন্য সম্পর্ক।
একটি সুসম্পর্ক যেকোনো মানুষের সুস্থতার মূল বলা যায়। একটি সুসম্পর্ক ব্যক্তিকে উজ্জীবিত ও জীবনমুখী করে তোলে। যা তার শরীর ও মনের সুস্থতার কারণ। সম্পর্ক যেন কখনে মলিন না হয় সে জন্য খেয়াল রাখতে হবে। চেষ্টা করতে হবে। আমাদের সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটি। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা, চালিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন। দুজন মানুষ এক সাথে পথ চলা শুরু করলে নানা কারণে মতের অমিল হতেই পারে। ঝগড়াবিবাদ মনেমোলিন্য অনেক কিছুই হতে পারে। এইসব কিছু আমাদের মানিয়ে চলতে হবে।
বর্তমানে পরকীয়া অহরহ বেড়ে গেছে। দাম্পত্য জীবনে কিছু ভুলের কারণে বা কিছু অবহেলা অনাদরের কারণে মানুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। সঙ্গীর থেকে যখন প্রাপ্য সম্মান, সময়, যত্ন না মিলে তখন সঙ্গী জিনিসগুলো যার থেকে পাই তার কাছে চলে যায়। বর্তমানে এই ধরনের নানা কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ ও পরকীয়া বাড়ছে। সম্পর্কে সঙ্গীকে অবহেলা না করে একটু যত্নশীল হয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হবে। সম্পর্ক হল বৃক্ষের মতো। যত যত্ন নেওয়া হয় তত বাড়তে থাকে। সম্পর্কে ভুল বুঝা বুঝি হলে অবহেলা করে সঙ্গীকে দূরে ঠেলে দেওয়া যাবে না। সম্পর্ক মসৃণ করতে সঠিক যত্নের প্রয়োজন হয়। দুজনকেই সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
যেকোনো সম্পর্কই গড়ে উঠে গভীর বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, আর ভালোবাসায়। একটা সম্পর্ক তখনই নির্জীব হয়ে ওঠে যখন সম্পর্কতে সময়ের অভাব দেখা দেয়। যেকোনো সম্পর্কেই সময় দেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের যত্নে কিছু জিনিস আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেমন– সততা, অনুভূতি প্রকাশ, বিশ্বাস ভরসা, সম্পর্কে সম্মান থাকা, সঙ্গীর সেরা বন্ধু হওয়া, রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি। এইরকম আরো অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুজনকে অবশ্যই সৎ থাকতে হবে। সম্পর্কে অবহেলা নয়। যত্নশীল হন।