সমালোচনা সহ্য করা একটি মহৎ গুণ

সাইফুল্লাহ কায়সার

| শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪ at ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

সমালোচনা যুগে যুগে ছিল, আছে এবং থাকবে। সমালোচনা থেকে নবীরাসুল, গাউস কুতুব কেউ রক্ষা পায়নি। আর তাদের তুলনায় আমরাতো সাধারণ মানুষ। আমাদের সমালোচনা থাকবে এটা স্বাভাবিক। সমালোচনা যারা সহ্য করতে পারে তারাই সফল। যে সমালোচনা করে তার অনেক ভালো আমল আল্লাহ যার নামে সমালোচনা করে তার আমল নামায় লিখে দেন। মূলত সমালোচনাকারির ক্ষতির দিকটা বেশি। আপনি যে সিদ্ধান্তই নেবেন তার সমালোচনা থাকবেই। এমন কোনও কাজ নেই যার সমালোচনা নেই বা করা যায় না। যারা বলে ভালো কাজের সমালোচনা নেই তাদের বলি, একটা ভালো কাজ করেই দেখেন না। কত বন্ধু শত্রুতে পরিণত হবে।

সমালোচনা নিয়ে ছোট্ট একটি গল্প বলছি– ‘এক দম্পতি একটি গাধা নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন রাস্তা দিয়ে। পথচারীরা তাদের দেখে বলছেন, কত বড় বোকা গাধার পিঠে না চড়ে হেঁটে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর ওই দম্পতি গাধার পিঠে চড়েই চলতে শুরু করলেন। তখন আরেক দল পথচারী বললেন, কী নির্মম! একটি গাধার পিঠে দুজন চড়েছেন। এটা পশুর প্রতি চরম নির্মমতা। এবার শুধু স্বামী গাধার পিঠে চড়লেন, স্ত্রী চললেন হেঁটে। সমালোচনা থামছে না। কেউ কেউ বললেন, কেমন স্বামী! স্ত্রী হাঁটছেন আর স্বামী গাধার পিঠে চড়ে যাচ্ছেন! এমন স্বামীও হয়! এবার গল্পের শেষ পর্ব শুনুন। স্ত্রী গাধার পিঠে আর স্বামী হেঁটে চলছেন। সমালোচনার তীর আরও তীব্র। তারা বললেন, কোনও স্ত্রী কি পারে নিজে গাধার পিঠে চড়ে স্বামীকে হাঁটিয়ে নিতে? এই হলো আমাদের সমাজ। আসুন, আমরা সমালোচনাকে স্বাভাবিকভাবে নিই, এতে অনেক কল্যাণ আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনুভবে তুমি আমার
পরবর্তী নিবন্ধএকটি গাছ, একটি প্রাণ, একটি সুন্দর পৃথিবী