চারদিনের মধ্যপ্রাচ্যে সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরব সফর করবেন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার এ সিদ্ধান্তের বিপরীতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সফরে বাইডেন সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সমালোচনা হলেও তিনি দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। খবর বাংলানিউজের।
২০১৮ সালে সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশটিকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলা বাইডেনের এ সফরে সমালোচনা হচ্ছে। সিএনএন’র খবরে বলা হচ্ছে, এখন সমালোচনাকে গুরুত্ব দেওয়ার সময় নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সৌদিতে জ্বালানি, মানবাধিকার এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন। বাইডেনের সফরে তেল উৎপাদন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিতে সৌদি নেতাদের তাগিদ দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, ইউক্রেনে অভিযানের জেরে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুতের চেষ্টা চালাচ্ছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সফরের আগের দিন বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর জন্য আকাশপথ উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেয় সৌদি। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র।